আরও পড়ুন East Medinipur News: একটানা আর দিঘা যাত্রা করতে হবে না, পথেই আরাম করুন এই জায়গায়, রইল হদিশ
শ্রীরামপুরের গোস্বামী বাড়িকে সিনেমায় দেখেছেন অনেকেই। ভূতের ভবিষ্যতের কথা মনে আছে? সেইখানে ভুতেদের যে বাড়িটি ছিল সেটি হল হুগলি শ্রীরামপুরের গোস্বামীবাড়ি। শ্রীরামপুর শহরের মধ্যে এটি শ্রীরামপুর রাজবাড়ি নামেও বিখ্যাত। সুবিশল বৃহৎ এই অট্টালিকার তৈরির পেছনে রয়েছে এক ইতিহাস।
advertisement
নবাব আলি বর্দির খাঁ শাসনকালের সময়ের ঘটনা। কথিত আছে, পরিবারের পূর্ব পুরুষ রাম গোবিন্দ গোস্বামী একদিন পাটুলি থেকে গঙ্গাবক্ষে কলকাতার উদ্দেশ্য যাত্রা করেন। তার স্ত্রী মনোরমা দেবীর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। তাই শ্রীরামপুরে থামতে বাধ্য হন। নৌকা থেকে নেমে শ্রীরামপুর তার খুব পছন্দ হয়। তত্কালীন শেওড়াফুলির রাজা মনোহর রায় জানতে পেরে তার থাকার ব্যবস্থা করেন। রাম গোবিন্দ দুর্গাপুজো শুরু করেন যা বড় বাড়ি নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীকালে রাম গোবিন্দর নাতি হরিনারায়ণ গোস্বামীর আমলে পরিবার ভাগ হয়। তিনি ও তার পুত্র রঘুরাম গোস্বামী চাতরায় বিশাল অট্টালিকা তৈরি করেন। বিরাট নাট মন্দির ঠাকুর দালান তৈরী হয়,সেখানেই শুরু হয় দুর্গা পুজো।
আরও পড়ুন Siliguri News: দীর্ঘ ৯৬ বছরের ঐতিহ্য বজায় রেখে দুর্গাপুজো শিলিগুড়ির মিত্র সম্মিলনীর
বর্তমানে, পারিবারের অনেকেই বিদেশে থাকেন। তবে পুজোতে সবাই নিজের বাড়িতে আসার চেষ্টা করেন। যারা আসতে পারেন না তাদের জন্যই প্রতিবছর সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ ভিডিও ব্রডকাস্ট করে গোস্বামী বাড়ির ফেসবুক পেজ থেকে। যাতে দূরে থেকেও আপনজনরা পুজোর আনন্দ একইভাবে অনুভব করতে পারে।
বর্তমান প্রজন্মের গোস্বামী বাড়ির সদস্যরা জানান,ছেলের সংখ্যা কমছে মেয়েদের তুলনায়৷ তাই বাড়ি, দালান রক্ষণাবেক্ষণ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও যারা রয়েছেন তারা চাইছেন যে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে। পূর্বপুরুষদের পুজোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
রাহী হালদার