হুগলি জেলার এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আরামবাগ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, দ্রুত বকেয়া বিদ্যুৎ বিল না মেটালে যাবতীয় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। কিন্তু সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা সত্ত্বেও কেন ইলেকট্রিক বিল দিতে হবে সেই বিষয়টাই স্কুল কর্তৃপক্ষ বুঝে উঠতে পারছেন না। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, বছর কয়েক আগে স্কুলটিতে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসানো হয়েছে। আরামবাগ পুরসভার গ্রিন সিটি প্রকল্পের অধীনে এই কাজ হয়। প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি সেই সময় সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসাতে খুব একটা ইচ্ছুক ছিলেন না। কিন্তু পুরসভার পক্ষ থেকে জোর করে বলা হয়, এই স্কুলের নাম যেহেতু গ্রিন সিটি প্রকল্পে উঠেছে তাই সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসাতে বাধ্য। সেই সঙ্গে পুরসভার পক্ষ থেকে নাকি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসালে ভবিষ্যতে আর বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে না। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতর থেকে প্রতি মাসেই ইলেকট্রিকের বিল আসতে থাকায় কার্যত মাথায় হাত পড়েছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ম্যাসকট বাঘ
এই বিষয়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর বলেন, "কোথাও একটা কোনও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।" সেই সঙ্গে তিনি তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, গ্রিন সিটি প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে এই প্রাথমিক স্কুলকে।
শুভজিৎ ঘোষ