আরও পড়ুন: ৪০ বছর পর রাস্তায় আলো জ্বলল তারকেশ্বরের গৌরবাটিতে
সুস্বাদু এই খেজুরের রস আগুনে জ্বাল দিয়ে বানানো হতো বিভিন্ন রকমের গুড়ের পাটালি ও নালি গুড়। খেতেও যেমন সুস্বাদু, চাহিদাও ছিল ব্যাপক। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে।গাছিদের অনেকেই এই বিষয়ে আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন, আগে তাদের দারুণ কদর ছিল, মৌসুম শুরুর আগ হতেই কথাবার্তা পাকা হতো কার কটি খেজুর গাছ কাটতে হবে। কিন্তু, আগের মতো তেমন খেজুর গাছও নেই। আর গ্রামের লোকেরাও এখন আর কেউ ডাকে না। গ্রামে অল্প কিছু গাছ আছে সেগুলো কেটে নিজেদের চাহিদা মেটান। সেই সুযোগ নিয়েই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তারা জাকিয়ে বসেছে নকল গুড়ের ব্যাবসা নিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: কিষান মান্ডিতে বিক্রির জন্য রাখা ৫৫ বস্তা ধান মাঝরাতে ভ্যানিস! মাথায় হাত কৃষকের
এখন গাছ যেমন কমে গেছে তেমনি কমে গেছে গাছির সংখ্যাও। ফলে প্রকৃতিগত সুস্বাদু সে রস এখন আর তেমন নেই। তবুও কয়েকটা গাছের পরিচর্যা করে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন গাছিরা। তারা জানান, খেজুরের গাছ কমে যাওয়ায় তাদের চাহিদাও কমে গেছে। আগে এই কাজ করে ভালোভাবেই সংসার চালাতেন। এমনকি আগে যে আয় রোজগার হতো তাতে সঞ্চয়ও থাকতো, যা দিয়ে বছরের আরো কয়েক মাস সংসারের খরচ চলতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। শীতের মরশুমে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড় তৈরির এই শিল্পকে গাছিরা ধরে রাখলেও বছরের বাকি সময় অর্থ উপার্জনের জন্য অন্য পেশায় যুক্ত হতে হয় তাদের।খেজুর গাছ হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ ইট ভাটার জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার-সহ অন্যান্য কারণেও বেপরোয়া খেজুর গাছ কাটা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এছাড়া অনেক সময় ঘরবাড়ি নির্মাণ করার জন্য খেজুরের গাছ কেটে ফেলা হয়।এতে দিনে দিনে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে খেজুরের গাছ। আর এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আর খেজুরের গুড়ের পুরনো সেই মিষ্টি স্বাদ পেতে হলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বেশি করে খেজুর গাছ রোপণ করতে হবে।
রাহী হালদার