সরকারি হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপাড়ায়। রোগীর পরিবারের তরফ থেকে উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারকেও তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। সিকিউরিটি সুপারভাইজার জয়া পাট্টাদারের বিরুদ্ধে ওঠা এই গুরুতর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিধানপল্লী এলাকার এক প্রসূতির প্রসব বেদনা উঠলে পরিজনরা তাঁকে নিয়ে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এমারজেন্সিতে যান। তখন সেখানে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না বলে পরিবারের দাবি। সেই সময় একটি ঘরে চেয়ারে বসেছিলেন হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজার জয়া পাট্টাদার। প্রসূতিকে নিয়ে তাঁর পরিজনরা সেই ঘরে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, চিকিৎসক কোথায় জিজ্ঞাসা করতেই জয়া ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁদের ঘর থেকে বের করে দেন। ঠিক তখনই বাইরে এসে ওই প্রসূতি পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তখন এই ঘটনার জন্য হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের দিকে আঙুল তোলেন। তাতে ওই মহিলা আরও রেগে যান বলে প্রসূতির পরিবারের দাবি। সেই সময় ওই প্রসূতির ভাই গোটা ঘটনা তার মোবাইলে রেকর্ড করছিল। এই কারণে তাকে চর মারবে বলে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে ওই সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: কাজ হয়নি, তাই গ্রামে ঢোকা চলবে না! কেন্দ্রীয় দলকে ফিরিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা
এই ঘটনার পরই ওই প্রসূতিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সরকারি হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা চিকিৎসা পাননি, উল্টে বের করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নটির শ্বশুর কৈলাস দাসের অভিযোগ পেয়েই অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তের জন্য চার সদস্যের ঐকটি কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে অভিযোগকারী কৈলাস দাস ও অভিযুক্ত জয়া পাট্টাদারকে হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের বক্তব্য শুনেছে তদন্ত কমিটি। এবার তাঁরা এই অভিযোগের বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট জমা দেবেন।
রাহী হালদার