এই কলেজে আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তির স্থাপন করা হয়েছিল। তার উদ্বোধক হিসেবে ফলকে নাম ছিল কলেজ পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠা এবার ফলকে নাম ঢেকে দিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই তৃণমূল নেতা রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদে চাকরি করতেন। তারা ইতিমধ্যেই আইন মেনে তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করেছে।
advertisement
২০১৫ সাল থেকে টানা পাঁচ বছর বলাগড় কলেজের সভাপতি ছিলেন শান্তনু। সেখানেই ২০১৯ সালে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন হয়। কলেজের সভাপতি হিসেবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মূর্তির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধক হিসেবে ফলকে নাম লেখা ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি সেই নামের ফলক ঢেকে দেয় কলেজ কর্তপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শান্তনু দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। দলও তাঁকে বহিষ্কার করেছে। তাই আমরা ফলক ঢেকে দিয়েছি। তিনি আরও জানান, শান্তনু সভাপতিত্ব করতে আসতেন শুধু। তার বাইরে কলেজের সঙ্গে তাঁর সেরকম কোনও যোগাযোগ ছিল না। বাইরে তিনি কী করছেন সেটা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তবে বর্তমানে শান্তনুকে নিয়ে যে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে তা দেখেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিকাঠামো থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিণত হয়েছে পোড়ো বাড়িতে
যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সাফাইয়ে নরম হতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁরা বলাগড় কলেজের নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সভাপতি থাকাকালীন এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ হয়েছে। পরে জানতে পেরেছি যে চারজনকে নেওয়া হয়েছে তারা প্রত্যেকেই স্থানীয়। মোট সাতজন অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মী আছেন কলেজে যাদের কলেজ ফান্ড থেকে বেতন দেওয়া হয়। শান্তনু দু'জনকে নেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় না করায় তাঁদের নেওয়া হয়নি। কলেজ অধ্যক্ষের দাবি, এই ঘটনার পরই তাঁর সঙ্গে শান্তনুর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কলেজের মিটিংয়ে প্রথম দিকে উপস্থিত থাকলেও পরে আর সেভাবে আসতেন না।
বলাগড় কলেজের বর্তমান সভাপতি মহিরুল হক এই প্রসঙ্গে জানান, তিনি সবেমাত্র সভাপতির দায়িত্বভার পেয়েছেন। কলেজের সব বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সঠিক জানা নেই। আগে কী হয়েছে সে বিষয়েও ঠিক জানেন না। একটি জিবি মিটিং করা হয়েছিল। কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন জাগায অধ্যক্ষকে মেল করে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।
রাহী হালদার