হুগলির বৈদ্যবাটির সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত এই প্রেক্ষাগৃহের কোথাও ভেঙে ঝুলছে পাখা, কোথাও আবার ভেঙে পড়ে আছে বসার চেয়ার। বিভিন্ন জায়গায় খুলে পড়েছে ফলস সিলিং। কিন্তু শহরে অন্য কোনও তেমন প্রেক্ষাগৃহ না থাকায় বাধ্য হয়ে এই বিপজ্জনক হলেই রবীন্দ্রজয়ন্তী থেকে শুরু করে অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। ফলে যে কোনও সময় বড়সড় বিপদ ভোটার আশঙ্কায় ভুগছেন সেখানকার মানুষজন।
advertisement
আরও পড়ুন: ছুটি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র মেলে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন, হঠাৎ CRF জওয়ানের নিথর দেহ এসে পৌঁছল পরিবারের কাছে!
স্থানীয় বাচিক শিল্পী গৌরী ভট্টাচার্য এই বেহাল প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে বলেন, আগে যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি বলেছিলেন এটাকে সংস্কার করা হবে। সেই কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। ফলে বর্তমানে যেকোনও অনুষ্ঠান করার জন্য চন্দননগরের যেতে হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও স্থানীয় কিছু সংস্থা ওই প্রেক্ষাগৃহে বর্তমানে অনুষ্ঠান করায় প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন তিনি।
সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত এই প্রেক্ষাগৃহের বেহাল অবস্থা প্রসঙ্গে বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য স্নেহাংশ মোহন্ত বলেন, বহুকাল ধরে সত্যজিৎ রায় ভবনের বেহাল দশা। এখন যারা ক্ষমতা আছে তারা নিজেরা কিছু করেনি, উল্টে অতীতে তৈরি হওয়া জিনিসগুলো নষ্ট করছে। যা টাকা-পয়সা আসছে শুধু নিজেরা লুটেপুটে খাচ্ছে। নিজেদের কঙ্কালসার চেহারার মতো সত্যজিৎ রায় ভবনের কঙ্কালসার চেহারাও বাঁশ দিয়ে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, এই প্রেক্ষাগৃহটি ১৯৯৪ সালে বাম আমলে তৈরি হয়েছিল। তবে তারপর থেকে আর কোনরকম কাজ হয়নি। যদিও বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতর দাবি, মাঝে মধ্যেই সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত এই প্রেক্ষাগৃহটি সংস্কার করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রেক্ষাগৃহটির আধুনিকীকরণেরর জন্য ডিপিআর তৈরি করে নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ হবে। টাকা এলেই কাজ শুরু হবে। সেন্ট্রাল এসি থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক সাউন্ড, লাইটের সব ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
রাহী হালদার