যে ব্যক্তির ছবি ভাইরাল হয়েছে, অনুব্রতর মতন অবিকল তাঁকে দেখতে হওয়ার দরুন বিড়ম্বনায় পড়েছেন তিনি নিজেও। হুগলির শেওড়াফুলি বাজারের এক মৎস্য ব্যবসায়ী সুকুমার হালদার। কেষ্টর চেহারার সঙ্গে দারুন মিল রয়েছে তাঁর। একই রকমের গোঁফ, মুখের ধাঁচ একই ধরনের। তবে কাজে তিনি সম্পূর্ণ আলাদা। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তিনি মাছ বিক্রি করে আসছেন শেওড়াফুলির বাজারে। থাকেন শেওড়াফুলি নিমাইতীর্থ ঘাট এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে।
advertisement
অনুব্রতের সঙ্গে তাঁর মিলের কথা তুলতেই বিরক্ত হলেন সুকুমারবাবু। তিনি বললেন, ‘‘অনেক ক্রেতা আমাকে বলেন, সুকুমারদা, তোমাকে অনুব্রতের মতো দেখতে। এর পর এক দিন কেউ আমার ছবি পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভাইরাল করে দিয়েছে। কারা করেছে, তা আমি জানি না। জানা গিয়েছে, ডান পা ভেঙে গিয়েছিল সুকুমারের। এখনও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ নন। পাশাপাশি, আরও নানা অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। এই অবস্থাতেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। রোজ সকালে পা ছড়িয়ে বসে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। তাঁর ছবি ভাইরাল হয়ে ওঠার পিছনে যাঁরা, তাঁদের শাস্তি চান সুকুমার।
কিছুটা উদাস গলায় বললেন, ‘‘পুলিশ প্রশাসন যদি তাঁদের শাস্তি না দিতে পারে, তা হলে স্বয়ং ঈশ্বর তাঁদের শাস্তি দেবেন। সে শাস্তি তোলা আছে।’’ অনুব্রতের সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গ টানতেই সুকুমারের জবাব, ‘‘ওঁর কাছে আমি তুচ্ছ। আমি পিঁপড়ের মতো।’’
আরও পড়ুন, কুন্তলের টাকাতেই কিনেছেন গাড়ি! ED-র দফতর থেকে বেরিয়ে জানালেন বনি সেনগুপ্ত
আরও পড়ুন, স্কুলে সন্তান পাঠিয়েও শান্তি নেই! মহিলা কর্মচারীর কুপ্রস্তাবের মেসেজ, পরে যা হল
সুকুমার হালদারের স্ত্রী শুক্লা হালদারও তিতি বিরক্ত এই ভাইরাল ছবিতে ঘিরে। পথে-ঘাটে যাতায়াত করতেই অনেকে জিজ্ঞেস করছে তাঁদের, তাঁর বর নাকি অনুব্রত মণ্ডল হয়ে গেছেন। বাস্তবে তাঁদের পরিবারিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। শুক্লা হালদার বলেন, "খোঁড়া মানুষটা যা হোক করে মাছ বেছে দুই পয়সা রোজগার করছে।" তিনি জানান, তাঁর স্বামীকে নিয়ে যাঁরা এইরকম জঘন্য কাজ করছেন, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।"
রাহী হালদার