হুগলির আরামবাগের এই মাটি পাচারের ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে এইভাবে মাটি পাচার নিয়ে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন পুকুর মালিক। মাল পুকুরের পাশেই বাড়ি ইউসুফ মণ্ডলের। তিনি বলেন, এই পুকুরটি তাঁদেরই। ভাইদের সঙ্গে মিলে তিনি পুকুর সংস্কারের কাজ করছেন। কিন্তু পুকুর সংস্কার করলে এত বিপুল মাটি কেন উঠছে এবং সেটি আইন মেনে বাইরে পাঠানো হচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর দিতে পারেননি।
advertisement
স্থানীয়দের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ওই পুকুরের পাশের আরেকটি বাড়ির মালিক নিজাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, এটা তাঁদেরই পুকুর। দীর্ঘদিন ধরে এটি সংস্কার করার জন্য পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিডিও অফিস সর্বত্র আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু অনুমতি পাননি। তাই এবার বাধ্য হয়েই বিনা অনুমতিতেই কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু পুকুর সংস্কার হলে এত বিপুল মাটি উঠছে কেন এবং সেই মাটি নিয়ে কী করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, পুকুর থেকে ওঠা মাটি গ্রামের রাস্তা ও ঈদগাতে ফেলা হচ্ছে। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা বলছেন ওই পুকুরের মালিকরা।
শুভজিৎ ঘোষ