জিটি রোডের উপর কোন্নগর ধারসার কাছে রয়েছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগান বাড়ি। ২০২০ সালে হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর থেকে কোন্নগর পৌরসভার উদ্যোগে ভ্রমণ কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছে এই বাগানবাড়িটিকে। বাগান বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলেই পাখিদের কলতান নদীর বয়ে যাওয়ার শব্দ ও সবুজ গাছ-গাছালি ভ্রমণ পিপাসু বাঙ্গালীদের শান্তিনিকেতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বলুন তো জল কেন 'ভেজা' হয়? উত্তর খুঁজে হয়রান ৯৯ শতাংশ মানুষ! আপনি জানলে কিন্তু আপনিই সেরা!
এই বাগানবাড়ি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ভিটে। একই সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশব কেটেছে এই বাগান বাড়িতেই। কবিগুরুর বেশ কিছু রচনায় এই বাগানবাড়ির উল্লেখ রয়েছে। এখানে এসে যেমন মানুষের মন শান্ত হয়ে যায় তেমনি নস্টালজিক হয়ে পড়েন তারা। বাগানবাড়িতে বসে কেউ কেউ আবার রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে শুরু করে দেন।
বাগানবাড়িতে আগত এক ব্যক্তি জানান, এখানে এসে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতের ছোঁয়া পাওয়া জায়গা দেখে তিনি নস্টালজিক হয়ে পড়েছেন। একইসঙ্গে সেটি তার কাছে একটি লোমহর্ষকও বটে। শান্ত পরিপাটি পরিবেশের মধ্যে একাধারে যেমন মন শান্ত হয়ে যায় ঠিক তেমনি এক নির্মল আনন্দও এনে দেয় মনের মধ্যে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগানবাড়ির সাথে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর মিল তিনি খুঁজে পান। বাড়তি পাওনা গঙ্গা। ঠাকুর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা নদী। পাখিদের কলতান সবুজ বনানীর সঙ্গে গঙ্গার এক অপূর্ব মেলবন্ধন অন্য রকমের পরিবেশ সৃষ্টি করে।
রাহী হালদার