তরুণীর সহকর্মি জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফাইনাল খেলা দেখছিলেন তরুণী তাঁর মোবাইলে। হঠাৎই একটা ফ্ল্যাশ মেসেজ ভেসে ওঠে। সেটা খুলতেই একটা অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে যায়। এরপর অ্যাকসেস নোটিফিকেশনে মোবাইল নম্বর দেন তরুনী। তাঁর অ্যাকাউন্টে এগারো হাজার টাকা পাঠানো হয় লোন হিসাবে। দু’ দিন পর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন করা।টাকার জন্য চাপ।টাকা না দিলে ডিপফেক করা অশ্লীল ছবি ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। তরুণীর কনট্যাক্ট লিস্টে থাকা অনেককেই ডিপফেক ছবি পাঠানো শুরু হতেই ভয় পেয়ে যান তরুনী। ১৯ হাজার টাকা অনলাইন পেমেন্ট করে দেন। হ্যাকাররা বুঝে যায় ভয়ে কাজ হয়েছে। এরপর লাগাতার টাকা চেয়ে ফোন আসতে থাকে। অবসাদ গ্রস্থ হয়ে পরেন তরুণী।
advertisement
আরও পড়ুন: ছুটিতে শান্তিনিকেতন যাচ্ছেন! শীতের জন্য কতটা প্রস্তুত থাকবে হবে, জেনে নিন
আরও পড়ুন: কাঁথিতে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা দিব্যেন্দুর গাড়ির, বুকে আঘাত পেলেন সাংসদ
তরুণীকে নিয়ে ভদ্রেশ্বর থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন তাঁর এক আত্মীয়।সেখান থেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানা চুঁচুড়ায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাশ মেসেজের মাধ্যমে ফোন ক্লোনিং অ্যাপ ডাউনলোড করিয়ে হ্যকাররা অনেক মানুষকে প্রতারিত করছে। ভয় দেখাতে ডিপফেককে হাতিয়ার করছে।সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে অনেকেই টাকা দিয়ে দিচ্ছেন।এগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে।এই ধরনের ফোন এলে তা ব্লক করতে হবে।মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে ওঠা ফ্ল্যাশ মেসেজে পাত্তা না দেওয়াই ভাল।কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করলে তাতে পার্সোনাল ডিটেলস দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
রাহী হালদার