আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছিলেন খালের ওপর বাঁশের অস্থায়ী একটি সেতু। বাসিন্দাদের বরাবর এটি দাবি তাদের যাতে একটি পাকা সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করে না প্রশাসন এমনটাই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বাঁশের সেতু পারাপার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। গ্রামের পাঁচজনার প্রাণও গিয়েছে সেতু পারাপার করতে গিয়ে। তবুও টনক নড়েনি প্রশাসনের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু উত্তরপাড়ায়! মোট মৃত্যুর সংখ্যা শুধু উত্তরপাড়াতেই চার!
গ্রামের কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না তাদের বাড়িতে। অসুস্থ ব্যক্তিদের চাগিয়ে বাঁশের সেতু পারাপার করতে হয়। যার ফলে বিপদে পড়তে হয় সাধারণ মানুষদের। বাঁশের অস্থায়ী সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করে মানুষ, যানবাহন সবকিছুই। চাষিরা মাঠ থেকে ধান নিয়ে আসার সময় এই সেতু দিয়েই পারাপার করেন। এমনকি স্কুলের পড়ুয়া সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাবার জন্য ও এই পথই অবলম্বন করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রুখতে প্রশাসনিক বৈঠক
অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও চিন্তায় থাকেন। এই গ্রামেরই এক মহিলা জানান তিনি প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন তবুও অ্যাম্বুলেন্স তার কাছে অব্দি এসে পৌঁছাতে পারিনি কারণ বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে তা আসা সম্ভব না। প্রসব যন্ত্রণা নিয়েই তাকে ওই বাঁশের সেতু পার হতে হয়। সেই দিনটি তার কাছে খুবই দুর্বিষহ ছিল। বাঁশের সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন গ্রামের একাধিক মানুষ। প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিকবার কংক্রিটের সেতু তৈরির আশ্বাস দিলেও আজও তা হয়ে ওঠেনি।
Rahi Haldar