তবে এবার খাবারের তালিকায় নতুন সংযোজন চটপটি। গ্রামীণ এলাকায় কারোও কাছে টিকিয়া হিসেবেই পরিচিত। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় সন্ধ্যায় ফুচকার পাশাপাশি চটপটি বিক্রি করে মুকেশ সাউ নামে এক যুবক। বাবার মৃত্যুর পর সংসারে হাল ধরেছে মুকেশ। সন্ধ্যা হলেই বেলদার বটতলা এলাকায় বিক্রি করে ফুচকা সহ নানান মুখরোচক খাবার। মুকেশ তৈরি করে বিনা তেলের আলুর চটপটি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ টাকায় মিলছে জিভে জল আনা মিষ্টি, সত্যি যেন ‘অমৃত’! কোথায় জানেন?
জানা গিয়েছে, এই চটপটি তৈরি হয় আলুকে সিদ্ধ করে তা মাখিয়ে জিরা গুড়া, ধনে গুঁড়ো, মেথি সহ নানান মসলা দিয়ে সামান্য আঁচে তৈরি করা হয় চটপটি। এরপর গরম গরম এই চটপটি সামান্য লেবু, মিষ্টি চাটনি, কাঁচা পেঁয়াজ, ধনেপাতা এবং নারকেল দিয়ে পরিবেশন করা হয়। প্রতিদিনই প্রায় ৪০ থেকে ৫০ প্লেট এই চটপটি বিক্রি হয়। তবে বিভিন্ন উৎসবে দিনে চটপটি বিক্রির পরিমাণ বাড়ে।
আরও পড়ুন: খাবার খেয়েই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে? আপনি মারণরোগে আক্রান্ত হতে পারেন!
প্রতিদিনই মুকেশের দোকানে চটপটি খাওয়ার জন্যে ভিড় জমে। আট থেকে আশি এই চটপটির স্বাদ নিতে ভিড় জমান তার দোকানে।
মুকেশের বক্তব্য, তেলবিহীন এই চটপটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত। তেলবিহীন এই চটপটিতে মেশানো হয় না কোন রিচ মসলাও। স্বাভাবিক ভাবে যেকোনো বয়সের পুরুষ মহিলারা নির্দ্বিধায় খেতে পারে চটপটি। প্রতিদিনই চটপটি খেয়ে মুকেশের চটপটির তারিফ করেছে খাদ্য রসিক মানুষজন।
সন্ধ্যার খাদ্য তালিকায় অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি নয়া সংযোজন কম মসলার তেলবিহীন আলুর চটপটি।
Ranjan Chanda