প্রায় ২৫ বছর ধরে, কলকাতা বম্বে কখনও বা দিল্লির মতো বিভিন্ন শহরে শুটিং সূত্রে ঘুরেছেন। সেখানে চা তৈরিতে বেশ ভাল সুনাম রতনের।কলকাতা বম্বে দিল্লি ঘোরার পর অবশেষে নিজের গ্রামে ফিরেছে রতন। গ্রামে ফিরে নিজের একটি ছোট্ট চা দোকান শুরু করেছেন। গত প্রায় দুই মাস হয়েছে। এর মধ্যেই তার ভ্যারাইটিজ চায়ের সুবাদে জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে রতনের। জানা গিয়েছে, রতনের দোকানে বেশ কয়েক রকমের চা তৈরি হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমের চা, আদা তুলসীর চা-সহ বেশ কয়েক রকমের।
advertisement
স্থানীয় মানুষ আগে লিকার, দুধ বা লেবুর চায়ের সঙ্গে পরিচিত ছিল। কিন্তু রতনের চা দোকানে এলে তারা জানতে পারেন, দুধ ও লেবু চা ছাড়াও। আম, তুলসী, চকলেট, কমলালেবু দিয়েও চা তৈরি হয়। এরমধ্যে আম এবং তুলসির চা বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে স্থানীয় মিল ও কলকারখানার শ্রমিক মানুষ সন্ধায় একটু স্বস্তি পেতে তুলসী লেবুর চা খেতে অভ্যস্ত হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় আসেন কিছু খরিদ্দার রতনের দোকানে।
আরও পড়ুনঃ ইলিশ খাবেন কিন্তু কাঁটা বাছতে হবে না! আপনাকে% যেতেই হবে ইলিশ উৎসবে
এক ক্রেতা শেখ আমির জানান, আম চা খেয়েছি রতন বাবুর দোকানে। তবে আগে কখনও আম চায়ের নাম শুনিনি। বেশ ভাল খেতে দাম মাত্র পাঁচটা টাকা। বিশেষ করে এই দোকানে তুলসী আদার চা খেলে মাথা ধরা সেরে যায়। এ প্রসঙ্গে বিক্রেতা রতন পাত্র বলেন, দীর্ঘদিন শুটিং ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কাজ করেছি। সেখানে বিশিষ্ট মানুষদের চা খাইয়েছি। হিন্দি বাংলার বিখ্যাত হিরো বিখ্যাত খেলোয়াড় চা খেয়েছেন। বিশিষ্ট মানুষেরা চা খেয়ে প্রশংসা করেছেন। সবমিলিয়ে ১৫-২০ রকমের চা তৈরি করা সম্ভব। কিন্তু হাওড়ার বাউরিয়া গ্রামীণ এলাকা এখানে অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে ৫ টাকার চা। তবে হরিদ্বারের চাহিদা থাকলে আরও বেশি দামে স্পেশ্যাল চা তৈরি করা হয়।
রাকেশ মাইতি