বলা যেতে পারে এই মুসুর ডালের নিরামিষ কাটলেটের জন্যই তেলেভাজার জনপ্রিয়তা সুকুমারের। উলুবেড়িয়া দশবাঘায় সুকুমারের ‘ফালতু চপের দোকান’। প্রতিদিন দুপুর থেকে একটানা কয়েক ঘণ্টা তেলেভাজার বেচাকেনা চলে। এই দোকানে ফুলুরি, চপ, শিঙাড়া, বেগুনি, পেঁয়াজি, ভেজিটেবিল ডেভিল, ডিমের ডেভিল-সহ কাটলেট। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ থেকে ১৫ রকমের তেলেভাজা পাওয়া যায়। সবচেয়ে জনপ্রিয়তা কাটলেটের। কয়েক রকমের কাটলেট হয় এখানে। এর মধ্যে মুসুর ডালের নিরামিষ কাটলেট বেশি জনপ্রিয়। জানালেন বিক্রেতা সুকুমার পোড়েল।
advertisement
মুসুর ডাল সামান্য ভিজিয়ে রেখে, সেই ডাল মিক্সারে বেটে নেওয়া হয়। তার পর কড়াইতে তেল মশলা দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে বিস্কুট গুঁড়োর সঙ্গে কাটলেট আকারে গরম তেলে দিয়ে ভাজা হয়। চটজলদি এই রেসিপিটি এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। দাম মাত্র ৭ টাকা। প্রায় কুড়ি বছর চলছে সুকুমারের তেলেভাজার দোকান। শুরু থেকে তেলেভাজার তালিকায় রয়েছে এই মুসুর ডালের কাটলেট। দামও রয়েছে শুরু থেকে একই।
বিক্রেতা সুকুমার পোড়েল জানান, ‘‘শুরুতে ৩৫ টাকা মুসুর ডালের প্রতি কেজি দাম ছিল। বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি। কিন্তু কাটলেটের দাম একই রয়েছে। গ্রামীণ এলাকা। এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। তাই এই দামেই দীর্ঘ দিন বিক্রি হচ্ছে মুসুর ডালের কাটলেট।