ইনস্টাগ্রামে রিয়া লিখেছেন, 'তুমি আগুনের উপর দিয়ে হেঁটেছ, বন্যায় পড়েও বেঁচে গিয়েছ, শয়তানদের পরাজয় করেছ, এর পরে যখনই নিজের ক্ষমতাকে প্রশ্ন করবে, এগুলি মনে রেখো।' কী বার্তা দিতে চেয়েছেন রিয়া? ১৪ জুন, ২০২০ সালে সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর দিকে যে আঙুল ওঠে, আবার কি সেভাবেই তাঁকে কাঠগড়ায় তোলা হবে? তার আভাস পেয়েই কি তবে নিজের মনে সাহস সঞ্চয় করলেন বলি অভিনেত্রী?
advertisement
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কে উল্টে গেল ট্রাক্টর, তিন পাল্টি পিকআপ ভ্যানে! মৃত ১
আরও পড়ুন: আহা! চায়ের কাপে আঁকা মেসির ছবি, দেখলে নিজের চোখকে বিশ্বাস হবে না
সম্প্রতি কুপার হাসপাতালের এক কর্মী দাবি করেন, সুশান্তের শরীরের কয়েকটি হাড় পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, হাড়ে জোরে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে, এবং চোখে ঘুষি মারা হয়েছিল। মৃত্যুর পর মুম্বইয়ের সেই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিনেতার মরদেহ। সেখানেই হয়েছিল তাঁর ময়নাতদন্ত। রূপকুমার শাহ নামে সেই কর্মীর বক্তব্য যেন আরও একবার নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিল।
সদ্য আরও একবার তিনি দাবি করেছেন, তাঁর গলায় যে আঘাতের চিহ্ন ছিল, তার কোনওটাই ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগা বা ঝুলে থাকার ফলে হয়নি। রূপকুমার শাহের মতে, গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চিহ্ন সেগুলি। হাসপাতাল কর্মীর কথায়, ''আমি সেই সময়েই আমার উর্ধ্বতন আধিকারিকদের সেকথা জানাই, কিন্তু তাঁরা আমার কথায় গুরুত্ব দেননি। বরং আমাকে নিজের কাজটুকুতে মন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ময়নাদতন্তের টিমে আমি ছিলাম, কিন্তু সেই টিমের নেতৃত্বে কোন আধিকারিক ছিলেন, তা আমার মনে নেই।''
আরও পড়ুন: সুশান্তের চোখে ঘুষির দাগ, হাড় ভাঙা, গলা টেপার চিহ্ন, মর্গকর্মীর এই দাবি শোনা হয়নি বলে অভিযোগ!
রূপকুমারকে প্রশ্ন করা হয়, সুশান্তের পরিবারের কেউ সেই আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করেননি কেন তার আগে? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি সেই কর্মী।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা নয়, খুন! সুশান্তের মৃত্যু তদন্ত নিয়ে এ বার বিস্ফোরক দিদি শ্বেতা
এদিকে কর্মীর বয়ান প্রকাশ্যে আসতেই সুশান্তের দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি সিবিআইকে আরও গভীরে গিয়ে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর তদন্তের অনুরোধ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, 'যদি ওই ব্যক্তির কথার সিকিভাগও সত্যি হয়, তবে সিবিআইকে অনুরোধ করব আরও খতিয়ে তদন্ত করতে।' এর পর কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার উদ্দেশে তিনি লেখেন, 'আমরা সব সময়ে মনে করেছি, আপনারা সততার সঙ্গে তদন্ত করবেন। দয়া করে আমাদের সত্যিটা জানান।'