এই প্রসঙ্গে বিশাল চৌধুরী নামের স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন , “আমরা অনেকক্ষণ ধরেই দেখছি উনি ওই শাড়ি পরে বুথের মধ্যে ঢুকছেন এবং বেরোচ্ছেন। ভোট দিয়ে চলে গেলে সেটা ঠিক ছিল। কিন্তু উনি বাইরে বারান্দায় বেঞ্চে বসে ছিলেন। এটা নির্বাচন। লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রচার করা শাড়ি পরে থাকা যায় না। এবং এজেন্ট ছাড়া বুথে কেউ থাকতে পারেন না। ওই মহিলা এজেন্ট নন। সেই কারণে আমরা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট করি। এটার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করা হচ্ছিল।”
advertisement
তবে পূর্বস্থলী ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক জানিয়েছেন, “বিষয়টা কিছুই নয়। মেয়েরা কোথাও থেকে শাড়ি এনেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার মা লক্ষ্মীর প্রতীক। আবহমান কাল থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা জমানোর কথা বলা হচ্ছে। সেই শাড়ি পরেই ভোট দিতে এসেছিলেন। কিন্তু কত বড় ঔদ্ধত্য ওই পুলিশ অফিসারের! তিনি বলছেন আপনি শাড়ি পাল্টে আসুন। কিন্তু কেন শাড়ি পাল্টে আসবে? লক্ষ্মীর ভান্ডার তো আর আমাদের পার্টির প্রতীক নয়। অযথা একটা উত্তেজনার সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন : শ্রীরামপুর লোকসভায় এসে সন্দেশখালির মহিলাদের চোখে জল! রাজনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত
অন্যদিক লক্ষ্মীর ভান্ডার শাড়ি পরে আসা ওই মহিলা অনিমা দেবনাথ বলেন, “পুলিশ বলছে এই শাড়ি পরেএখানে আসা যাবে না, থাকা যাবে না । শাড়িতে কী সমস্যা রয়েছে তা আমি জানি না। আমি ভোট দিয়েছি।” প্রসঙ্গত এই লক্ষ্মীর ভান্ডার শাড়িকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও পরবর্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।