এবার বিষয়টি খোলসা করা যাক, এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হতে তখনও বাকি আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর নিবা দুই বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সিট পড়েছিল কাশিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ে। বামনগাছি এলাকার বাসিন্দা তিয়াশাকে পরীক্ষার কয়েকদিন টোটোয় করেই যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছিলেন পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বাবা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেওয়ার টেনশন, ভয় নেয়েই টোটে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনা।
advertisement
আরও পড়ুন: ইচ্ছে থাকলেই সব সম্ভব, মাধ্যমিকে নজির গড়ে প্রমাণ দুই বিশেষ ভাবে সক্ষম যমজ বোনের
দত্তপুকুর গঙ্গাপুর চৌমাথায় পাইপ লাইনের কাজের জন্য রাস্তা খোড়া হয় আর সেখানেই জমেছিল জল। গভীর গর্ত হয়েছিল ওই জায়গায়। টোটো এ পরীক্ষা দিতে যাবার সময় ওই গর্তে পড়েই উল্টে যায় টোটো। গুরুতর আহত হন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তিয়াশা। সেই অবস্থাতেই পরীক্ষা দেয় সে।পরবর্তীতে চিকিৎসকরা জানান পায়ের পাতার ছটি হাড় ভেঙেছে তার, শুধু তাই নয় লিগামেন্টও ছিঁড়েছে শরীরের। পরবর্তীতে সুস্থ হলেও, আজও হাঁটতে অসুবিধা হয় তিয়াশার।
আরও পড়ুন: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল দেখুন News18 Bangla-র ওয়েবসাইটে
মাঝে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’মাস। মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পর মার্কশিট নিতে এদিন খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে স্কুলে আসতে দেখা যায় তিয়াসাকে। সেদিনের দুর্ঘটনার বাধা অতিক্রম করে পাশ করেছে তিয়াশা, তবে অধরাই থেকে গিয়েছে প্রত্যাশা। দুর্ঘটনা না হলে আরও ভাল হত মাধ্যমিকের ফলাফল। রাস্তার বেহাল দশার কারণেই ঘটে দুর্ঘটনা আর তার জেনেই কমল মাধ্যমিকের নম্বর মনে করছে তিয়াসা। সেদিনের দুঃস্বপ্ন এখনও যেন ভুলতে পারছে না সে। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের কোন সমস্যার জেরে, কোন পরীক্ষার্থীকে দুর্ঘটনায় পড়তে না হয় তার জন্য প্রশাসনকে নজর রাখার কাতর আবেদন জানিয়েছেন এই স্কুল ছাত্রী। ফার্স্ট ডিভিশন হল না, এখন এই আক্ষেপ নিয়েই উচ্চতর শিক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে তিয়াশা দাস।
রুদ্র নারায়ণ রায়