যে কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষাস্থলে ছাত্রী ও কর্মরত সমস্ত মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় ইউজিসি। ভাইস চ্যান্সেলর, রেজিস্ট্রার, প্রিন্সিপাল, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী, পড়ুয়া, রিসার্চ স্কলার, সমস্ত বিভাগের কর্মীদের সুরক্ষিত ভাবে কাজ করতে দেওয়াই এই গাইডলাইনের লক্ষ্য। শিক্ষাঙ্গনে নারী-পুরুষ ভেদাভেদকেও একেবারে শেষ করতে চায় এই গাইডলাইন।
আরও পড়ুন: প্রতি মাসে ১০০ টাকা ডোনেশন দিতে হবে পড়ুয়াদের, কর্নাটক সরকারের নিয়মে বিতর্ক
advertisement
ইউজিসির গাইডলাইনে বলা হয়েছে--
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ই একটি হ্যান্ডবুক দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। সেখানেই লেখা থাকবে সমস্ত নিয়মাবলী। সেই বইতে হেল্পলাইন নম্বর, আইসিসি সদস্য, অ্যান্টি র্যাগিং সেল, প্রক্টর অফিস, মেডিক্যাল এমারজেন্সি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ক্যান্টিন ও অন্য প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর দেওয়া থাকতে হবে। পড়ুয়াদের বিশেষ কোনও পরিস্থিতিতে প্রফেশনাল কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা থাকতে হবে। মহিলাদের শৌচালয়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিরাপত্তার জন্য উপযুক্ত পরিমাণ মহিলা কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আলোর উৎসবে আজও ওরা 'ঘরছাড়া', বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্তদের 'অন্ধকার' দীপাবলি!
প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে ইন্টারনাল কমপ্লেন্ট কমিটি (আইসিসি) থাকতে হবে। মফঃস্বল বা গ্রামে ক্যাম্পাস হলে তার বাউন্ডারি দেওয়াল সুগঠিত হতে হবে। গোটা ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে হবে। মহিলাদের হস্টেল তৈরি করতে হবে। সমস্ত বিষয় নিয়ে কিছুদিন বাদে বাদে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে কোনও নিজস্ব উপদেশ থাকতে তা জানাতে বলেছে ইউজিসি।