প্রথম দিন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকদের নিয়ে একটি ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। সেখানে মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের পরবর্তী তিন বছরের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অবহিত করা হয়। এছাড়াও কলেজের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডিপার্টমেন্ট-সহ পড়াশোনার ধরন সম্পর্কে অবগত করা হয়। অ্যান্টি র্যাগিং, বিভিন্ন স্কলারশিপ সম্পর্কেও এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রান্নায়-পাতে পেঁয়াজ খেতে ভালবাসেন? অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল না, কী হয় জানুন
advertisement
মূলত প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। যাদবপুর কাণ্ডের পরে সমস্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ র্যাগিংয়ের প্রতি একটু বিশেষ সক্রিয় হয়েছে। তাই সমস্ত রকম ভাবে র্যাগিং রুখতে উদ্যোগী কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। একইসঙ্গে, স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর- সমস্ত পড়ুয়াদের ভয় কাটানোর সিদ্ধান্তও বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে অধ্যাপকরা পড়ুয়াদের মেন্টর হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করা হবে।
আরও পড়ুন: শাহরুখের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক, বছরের পর বছর কথা নেই কেন? মুখ খুললেন নানা পাটেকর
র্যাগিং এবং কলেজ চত্বরে দাদাগিরি রুখতে কমিটি এরপর আরও তৎপর হবে। প্রয়োজনে এই ব্যাপারে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যও নেওয়া হবে।পাশাপাশি, কলেজে নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে কমিটি। শিলিগুড়ি গভর্মেন্ট পলিটেকনিক কলেজের কেমিস্ট্রির অধ্যাপক, সত্যম পাল জানিয়েছেন, “প্রতিবছরই ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের নিয়ে এমন ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম করা হয়ে থাকে। আমাদের কলেজে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি রয়েছে। তারপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলি আটকানো সম্ভবপর হয় না। তাই অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ভয়-ভীতি দূর করা। এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ও এই সম্পর্কের বেশি করে অবহিত করাই আমাদের আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।”
অনির্বাণ রায়