২০১০ সালের পর থেকে মধ্যশিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। আর এই কারণে প্রতিবছর ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমছে। স্কুল বাঁচাতে এই দুই শিক্ষক রীতিমতো লড়াই করছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শুধু এই নকিবসান মধ্যশিক্ষা কেন্দ্রের ছবিটা এমন নয়, জেলার প্রতিটি স্কুলেরই প্রায় এক ছবি। শিক্ষকের অভাবে দিন দিন কমছে স্কুলের ছাত্রের সংখ্যা। আর্থিক দিক থেকে সক্ষম না হওয়ায় পরিবারের ছেলেমেয়েদের সঠিক শিক্ষাদানের জন্য মধ্যশিক্ষা কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অভিভাবকেরা। কারণ মধ্যশিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: সব জল্পনার অবসান! মমতার সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক কেন, স্পষ্টভাবেই কারণ জানিয়ে দিলেন সৌরভ
এই পরিস্থিতিতে মধ্যশিক্ষা কেন্দ্রগুলি ছিল এলাকার দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষালাভের একমাত্র আশ্রয়স্থল। পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে মধ্যশিক্ষা কেন্দ্রগুলি চরম সংকটে এখন। সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত মধ্যশিক্ষা কেন্দ্রটি পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তে নবম-দশম শ্রেণীরও পাঠদান হয়। প্রতি বছর এই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন ছাত্রছাত্রীরা।
আরও পড়ুন: রাঘব বোয়াল থেকে চুনো পুঁটি, ৫১৭ বছরের এই মেলা মাছপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ! কোথায় হয় জানেন?
মূলত আর্থিক কারণে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই মধ্যশিক্ষা কেন্দ্রে আসে পড়াশোনার জন্য। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের জন্য স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক এই স্কুল চলছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক পাঠদানের জন্য ওই দুই শিক্ষক নিজেদের বেতন থেকে আংশিক সময়ের চারজন শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। সেই শিক্ষকেরা স্কুলের ক্লাস করান টিফিনের সময় পর্যন্ত। আর তাতেই এই মধ্যশিক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রের সংখ্যা কমছে।
সৈকত শী