সীমিত সুযোগ, প্রতিকূলতা, আর্থিক অনিশ্চয়তা—সব কিছুকে পেছনে ফেলে সে পৌঁছেছে সিঙ্গাপুরের নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে। যেখানে প্রেসিডেন্ট স্কলারশিপ পেয়ে চার বছরের জন্য এআই ও রোবোটিক্স নিয়ে গবেষণায় অংশ নিচ্ছে সে। যা এশিয়ার এআই গবেষণাক্ষেত্রে এক বিরল সম্মান। জন্ম ও বেড়ে ওঠা কোচবিহার জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ভেটাগুড়িতে।
আরও পড়ুন: স্ট্রিট লাইটের নীচে ‘রাতের স্কুল’! এই স্কুল চালিয়ে ভাইরাল বিমান
advertisement
সেখানেই পরিবারের সীমিত সামর্থ্য সৌম্যর মধ্যে গড়ে তুলেছিল বড় হওয়ার জেদ। প্রাথমিক পড়াশোনা বিন্নাগুড়ি আর্মি স্কুলে, পরে উচ্চশিক্ষা কোচবিহার গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এবং সেখান থেকে আই আই টি গান্ধীনগর। যেখানে সে এমটেক শেষ করে অর্জন করেছে স্বর্ণ পদক। ইতিমধ্যে জাপান ও হায়দরাবাদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাঁর গবেষণার কাগজ উপস্থাপন করেছে সে। যা বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: IIT খড়্গপুরে গবেষণার সুযোগ! বেতন মোটা অঙ্কের, হাতছাডা় করবেন না এই সুযোগ, জানুন বিশদে
সিঙ্গাপুর নয়, সুযোগ ছিল ইউরোপ-আমেরিকাতেওপ্রস্তাব এসেছিল জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, আমেরিকার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও। কিন্তু সৌম্য বেছে নিয়েছে এশিয়ার গবেষণাক্ষেত্রকে, কারণ তাঁর ইচ্ছে, এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি উন্নয়নে ভূমিকা নেওয়ার। সৌম্য জানিয়েছে, “স্বপ্ন যত বড়ই হোক না কেন, শুরুটা হতে পারে একদম মাটির কাছ থেকে।সাহস আর মনে তা পূরণ করার জেদ থাকতে হবে।”