মূলত এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার জোটের সঙ্গে লড়াই করবে ইউনাইটের গোর্খা মঞ্চ। আর সেই মঞ্চে রয়েছে বিজেপি, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টি, জিএনএলএফ, সিপিআরএম, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ, সুমেটি মুক্তি মোর্চা, গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নির্মান মোর্চা সহ আরও কয়েকটি আঞ্চলিক দল। আর ‘ইউনাইটেড গোর্খা মঞ্চ’ নামেই তারা পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়বে।বৈঠক শেষে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “পাহাড়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের এই জোট। দুর্নীতি রুখতেই আমরা একসঙ্গে হয়েছি। এই জোটের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই।”
advertisement
আরও পড়ুন: খাবার খেতে খেতে জল খান? সাবধান, শরীরে এই জটিল রোগ হতে পারে!
শনিবার থেকেই জোটের সলতে পাকানো শুরু করেছিলেন রাজু বিস্তা। রবিবার তিনি দার্জিলিংয়ে গিয়ে বিমল গুরুং, রোশন গিরি, অজয় এডওয়ার্ড, দাওয়া পাখরিন-সহ আরও অনেক নেতাকে নিয়ে বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করে ফেলেন। তবে তার আগে সকালে তাদের মূল জোটসঙ্গী জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন। রাজুর দাবি, এই জোট শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যই। সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “বিজেপি সর্বভারতীয় দল তাই তাদের প্রার্থীরা পদ্ম চিহ্নে লড়াই করবে। আর আমাদের জোটসঙ্গীদের সকলের একটাই চিহ্ন হবে যা দেখে মানুষ বুঝতে পারবে। আমরা চাই দুর্নীতিমুক্ত পাহাড় গড়তে। তাই সকলে মিলে এই মঞ্চ তৈরি করেছি। আমাদের লক্ষ্য পাহাড়ে রাস্তা, নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা। প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যালয় চালু করা।”
আরও পড়ুন: শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব ঘুমের মধ্যে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, অবশ্যই জানুন
বিমল গুরুং বলেন, “এই জোট পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত সীমিত। পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হয়নি দেখে এই লড়াই।” কোন দল কত আসনে প্রার্থী দেবে? এর জবাবে রাজু বলেন, “আমরা জয়ী হওয়ার জন্য ময়দানে নেমেছি। যেখানে যে প্রার্থী দিলে লাভ হবে সেটাই করা হবে। এক্ষেত্রে কোন দল তা দেখা হবে না। এমনকী, অরাজনৈতিক প্রার্থীও দেওয়া হতে পারে।’
অনির্বাণ রায়