আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! বেপরোয়া ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাত সকালেই শেষ বৃদ্ধ তেলেভাজা বিক্রেতার জীবন
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে পাহারারত দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার এক মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসার কাজে সহযোগিতা করছেন। প্রশ্ন উঠছে, যাদের কাজ হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা দেওয়া, তারা কী করে একজন মুমূর্ষু রোগীর প্রেসার মাপতে পারে বা প্রেসার মাপার কাজ করতে পারে?
advertisement
এদিকে কুশমন্ডি গ্রামীণ হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে রোগীর চিকিৎসায় দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের সাহায্য করার কথা স্বীকার করেছেন জেলার মুখ্য সাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস ও কুশমন্ডির বিএমওএইচ অমিত দাস।
দুপুরে এমার্জেন্সিতে ব্যাপক ভিড় ছিল। সেই সময় এক মুমূর্ষু রোগী এসে হাজির হন। তখনই পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে এমারজেন্সির বেডে নিয়ে গিয়ে তাঁর হাতে প্রেসার মাপার যন্ত্রের ব্যান্ড পড়িয়ে দেন। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেন রোগীর এক আত্মীয়।
এই ঘটনাকে মহান চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস। তিনি বলছেন, এটা তো মানবিক মুখ। একজন মুমূর্ষু রোগী এসে পড়ে থাকবেন আর সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবেন তা হয় না। তার থেকে যাতে সেই রোগীর চিকিৎসা দ্রুত হতে পারে সেই চেষ্টাই করেছেন ওই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার।
কুশমন্ডি গ্রামীণ হাসপাতালের এই ঘটনায় বিএমওএইচ অমিত দাস বলেছেন, ওই সিভিক ভলেন্টিয়াররা চিকিৎসা করেনি। সিস্টারা অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন, রোগী এসে শুয়ে থাকায় তাঁরা প্রেসার মাপার যন্ত্রটা বেঁধে দিয়েছেন। তবে এই ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেই জন্য ওই ভলেন্টিয়ারদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সুস্মিতা গোস্বামী





