প্রসঙ্গত,আজ থেকে প্রায় কয়েকশো বছর আগে রাজা জগদীশ নাথ গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো নয়,ডাক লক্ষ্মী পুজো সাড়ম্বরে পালন করে তপন থানার ৭ নং রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চকভগীরথ গ্রামে। সেই পুজোই এখন গ্রামের সার্বজনীন পুজো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন – Elephant Attack: সন্ধ্যা হলেই ধেয়ে আসছে হাতি, ধান ক্ষেতের চিন্তায় মাথায় হাত কৃষকদের
advertisement
অবিভক্ত বাংলাদেশে রাজা জগদীশ নাথের জমিদারি আওতায় পড়ত এই অঞ্চল। তিনি এই অঞ্চলের বিষয় সম্পত্তি তদারকি করতে এসে সিদ্ধান্ত নেন, লক্ষ্মী প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করেন। যা ‘ডাকলক্ষ্মী’ নামে পরিচিত।
এই গ্রামের লক্ষ্মী পুজোর বিশেষত্ব হল মা লক্ষ্মীর মূর্তির দুপাশে জয়া ও বিজয়া মূর্তি রয়েছে। এরপরেই প্রবীণ ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে গ্রামের মধ্যেস্থলে এনে নিয়ম নিষ্ঠা মেনে এই ডাকলক্ষ্মী দেবীর পুজো শুরু করা হয়। বিজয়া দশমীর পরের পূর্ণিমা তিথিতে পুজোর আয়োজন করা হয়।ফলে আলাদা করে দুর্গা পুজো বা কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর প্রচলন গ্রামে সেভাবে নেই। এই ডাকলক্ষ্মী পুজোকেই তিন দিন ব্যাপি পুজো বানিয়ে গ্রামের সাধারণ বাসিন্দারা আনন্দে মাতেন।
Susmita Goswami