অথচ নিপুণ হাতের ছোঁয়া আর কঠোর পরিশ্রম করে যারা তৈরি করেছেন প্রতিমা, তাদের অনেকেই আজ বিমুখ। কারণ প্রতিমা তৈরির অন্যতম উপকরণ মাটি, কাঠ, খড়, বাঁশ, লোহা ও রংসহ সকল পণ্যের মূল্য যে হারে বেড়েছে সে হারে বাড়েনি প্রতিমার দাম।
আরও পড়ুন ঃ বর্ষাকালে বিদ্যুতের বিপদ থেকে বাঁচবেন কীভাবে? জানাতে শিবির হবে স্কুলে স্কুলে
advertisement
সূত্রের খবর, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিন বেড়েই চলেছে কিন্তু বাড়েনি মাটির তৈরি প্রতিমার দাম। বালুরঘাটে কুমোরটুলি এলাকা কুমোরদের অভিযোগ আজ থেকে ১০ বছর আগেও যেমন দামে প্রতিমা বিক্রি হতো বর্তমানের প্রায় সেই দামে বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি, প্রতিমা তৈরির খরচ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তবে সেই অনুপাতে প্রতিমার দাম না বাড়ায় বিপাকে মৃৎশিল্পীরা। অন্যদিকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাটির তৈরী জিনিসপত্রের চাহিদা শহরের পাশাপাশি গ্রামে গঞ্জে তলানিতে ঠেকেছে। ফলে এই শিল্পের সাথে জড়িত পাল সম্প্রদায়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অনেকেই ইতিমধ্যে পেশা পরিবর্তন করেছেন।
আরও পড়ুন ঃ জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘর্ষ! তুলকালাম বালুরঘাটে
অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর ব্যস্ততা বেশি হওয়ায় পুরুষের পাশাপাশি পালপাড়ার নারী ও শিশুরাও কাজ করছেন রাত-দিন। কিন্তু প্রতিমা তৈরির উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি ও করোনার মহামারীর পরে প্রতিমার দাম কম থাকায় লাভ হচ্ছে না বলে দাবি কারিগরদের।
এবার বড় প্রতিমা ৩০-৩৫ হাজার ও ছোট প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ হাজার টাকায়। ফলে লাভ হবে না কারিগরদের। তারপরেও ধর্মীয় আবেগ ও পেশার প্রতিশ্রুতির কারণে বছরের পর বছর প্রতিমা তৈরি করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
সুস্মিতা গোস্বামী