উল্লেখ্য, শহর থেকে একটু ভিতরে পাল পাড়া এলাকায় ঢুকলেই দেখা যাবে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃত্শিল্পীদের। খড় ও মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমার গায়ে চলছে রংয়ের প্রলেপ। চলছে রোদে শুকিয়ে রং ও অলঙ্কার পরানোর কাজ। তুলির টানে রং -বেরঙের সজ্জায় সজ্জিত করে তোলা হয়েছে পট গুলিকে।অভাবকে সঙ্গী করেই বংশ পরম্পরায় টিকিয়ে রেখেছেন এই মনসার পট শিল্পকে।
advertisement
প্রতিমা শিল্পীদের বাজার মন্দা, খুবই সমস্যায় পড়েছেন বাচ্চু পালের মত মৃৎশিল্পীরা। তাদের বক্তব্য, প্রতিমার পাশাপাশি পটের তেমন চাহিদা নেই, নেই তেমন বিক্রি। শিল্পীরা প্রতিমার পট গড়ে, বসে আছেন বিক্রির আশায়। দু’একটা বিক্রি হলেও বাজেট কম। ফলে নামমাত্র লাভ রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে।একদিকে যেমন বেড়েছে মাটির দাম পাশাপাশি রং সহ আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম হয়েছে আকাশছোঁয়া। কিন্তু প্রতিমার বাজার তেমন বাড়েনি বললেই চলে।
বিগত প্রায় ১০ বছর আগে যেই পট ১০০ টাকা দিয়ে বিক্রি হতো সেই পট বর্তমানে ১২০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা বিক্রি হয়। কিন্তু আজ থেকে ১০ বছর আগে মাটি কিংবা রং সহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্রের দাম যা ছিল তার থেকে বেড়েছে প্রায় দশ গুণ কিন্তু ঠাকুরের দাম সেই তিমিরেই রয়েছে। এত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অভাবকে সঙ্গী করে পূর্বপুরুষদের শেখানো বিদ্যা এখনও ধরে রেখেছেন তারা।
আরও পড়ুন-‘জেলের বাথরুম পরিষ্কার করতেন সলমন’, শিউরে উঠা কাহিনি ফাঁস করলেন ভাইজান
আরও পড়ুন-চোখে বাঁধা ব্যান্ডেজ, হাসপাতালে নুসরত! আচমকা কী হল নায়িকার? নেবেন কাজ থেকে বিরতি
এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দিয়েও মনসার পট সহ মূর্তি তৈরি করার পরেও বিক্রি করবার জন্য স্থায়ী কোনও বাজার নেই। শিল্পীরা এই সমস্ত জিনিসগুলো বালুরঘাট শহরের একটি জায়গায় বসে বিক্রি করবে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। এর ফলে রাস্তার ওপরেই এই সমস্ত মাটির তৈরি জিনিসগুলো রেখে বিক্রি করতে হয়।এমনকি যে সমস্ত দোকানের সামনে বসে এই মাটির জিনিসগুলো বিক্রি করতে হয় সেই সমস্ত দোকানদারকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ শিল্পীদের।বিষয়টি একাধিকবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি আজও পর্যন্ত।
সুস্মিতা গোস্বামী