নজরকাড়া সাফল্য বালুরঘাটের খুদে সাঁতারুর। রাজ্য স্তরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় চারটি পদক ঝুলিতে ভরল বালুরঘাট হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র বর্ণিক। জলপাইগুড়িতে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় রাজ্যের ২৩ টি জেলার শতাধিক পড়ুয়া অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে ওই পড়ুয়া দুটি রূপো ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক ছিনিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন South Dinajpur News : হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ঘরের দেওয়াল, নিচে চাপা পড়লেন বৃদ্ধা
advertisement
বর্ণিকের কথায়, “সব বয়সের মানুষের জন্যেই সাঁতার জানা প্রয়োজন। সাঁতার হচ্ছে একটি অন্যতম ব্যায়াম। পৃথিবীতে যত প্রকার ব্যায়াম আছে, তার মধ্যে সাঁতার শ্রেষ্ঠ ব্যায়াম। সেইসঙ্গে নিয়মিত সাঁতার চর্চার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখা যায়।”
বর্নিকের বাবা ব্রতিন সরকার একজন চিত্রশিল্পী। তিনি ছোট থেকেই বর্ণিককে সাঁতারের প্রতি উৎসাহ জুগিয়ে চলেছেন। সে বালুরঘাট পুরসভার সুরেশরঞ্জন পার্কে অবস্থিত সুইমিংপুলে সাঁতারের অভ্যাস করে। বিগত নয় বছর ধরে তার অনবরত পরিশ্রমের ফল এই চারটি পদক। নবম বার্ষিক সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে চারটি ইভেন্টে সে নাম নথিভুক্ত করেছিল। যেখানে ৫০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে দ্বিতীয় ও ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইল ইভেন্টে তৃতীয় হয়েছে। বাকি ৫০ মিটার ও ১০০ মিটারে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান করে নিয়েছে বর্ণিক।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, “নিয়মিত সাঁতারে হৃদপেশির কার্যক্ষমতা বাড়ে। সেইসঙ্গে বাড়ে ফুসফুসের অক্সিজেন ধারণক্ষমতা। পেশিগুলোও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।শিশুর বাড়তি মেদ ঝরাতেও সাঁতার অত্যন্ত কার্যকর। শরীরের মাংস পেশিগুলো গঠনে সুন্দর ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে সাঁতারে।”
বর্ণিকের সাফল্যে খুশির কথা জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে তার সাঁতারের প্রশিক্ষক।
সুস্মিতা গোস্বামী