TRENDING:

Dakshin Dinajpur: শোনা যেত নূপুরের শব্দ! পুজো দিতেন রানি রাসমণি, বুড়া মা কালীর মন্দির ঠিক কোথায়

Last Updated:

Dakshin Dinajpur News: লোক মুখে শোনা যায়, কয়েকশো বছর আগে বর্তমান বালুরঘাট বুড়া কালী মাতার মন্দিরের পাশ দিয়ে নাকি আত্রেয়ী নদী বইত। শতাব্দীর প্রাচীন এই দেবীকে কেন্দ্র করে জেলাবাসীর মনে অফুরন্তু বিশ্বাস রয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুর: জনশ্রুতি আছে, একটা সময় কলকাতার রানি রাসমণি এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন। বজরায় করে এসে তিনি আত্রেয়ী নদী থেকে জল নিয়ে মায়ের পুজো দিয়ে আবার ফিরে যেতেন কলকাতায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের শতাব্দী প্রাচীন কালী মন্দিরের মধ্যে অন্যতম হল বালুরঘাট তহবাজার এলাকার বুড়া কালীর মন্দির। কালী পুজোর দিন এই মন্দির ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল চোখে পড়ার মতো।
advertisement

লোক মুখে শোনা যায়, কয়েকশো বছর আগে বর্তমান বালুরঘাট বুড়া কালী মাতার মন্দিরের পাশ দিয়ে নাকি আত্রেয়ী নদী বইত। শতাব্দীর প্রাচীন এই দেবীকে কেন্দ্র করে জেলাবাসীর মনে অফুরন্তু বিশ্বাস রয়েছে। এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে অনেক অলৌকিক ঘটনা। যা শুনলে আজও গা শিউরে ওঠে। ভক্তদের কাছ থেকেজানা যায়, আত্রেয়ী নদীর পাশে মায়ের শিলা খণ্ড ভেসে উঠেছিল৷ ভক্তদের বিশ্বাস এই কালী মন্দির আসলে সতীর একান্ন পীঠের কোনও গুপ্তপীঠ। দেবী এখানে স্বয়ম্ভূ। কালো পাথরের খণ্ডকেই এখানে দেবী রূপে পুরনো রীতি মেনেই পুজো হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: এবার চাঁদ থেকে এল ভূমিকম্পের বড় খবর! বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখছেন পুরোটা

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই ২ টি ঘূর্ণাবর্ত, ফের তৈরি হচ্ছে আরেকটি, বাংলার আবহাওয়ায় তোলপাড়

View More

বুড়া মায়ের পুজো বছরে দু’বার হয়। চৈত্র সংক্রান্তি ও দীপান্বিতা অমবস্যায়। তবে বড় পুজো হয় দীপান্বিতা অমবস্যায়। পুজোর দিন মায়ের মূর্তিতে সোনার গয়না পরিয়ে দেওয়া হয়৷ রুপোর বাসনে নিবেদন করা হয় ভোগ। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের কাছে পুজো দিতে আসে৷ সে দিন প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরবাসী নয়, পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর, মালদা, শিলিগুড়ি থেকেও প্রচুর ভক্ত বা দর্শনার্থী আসেন।

advertisement

কথিত আছে, অতীতে সন্ধ্যার পর নাকি অপরূপ ফুলের সুগন্ধ পাওয়া যেত এই মন্দিরের চারপাশ থেকে। কিন্তু কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত কোনও জঙ্গল বা গাছপালা ছিল না। শোনা যেত নুপুরের আওয়াজ। সেই সব নাকি এখন গল্প মনে হয় অনেকের। তা সত্ত্বেও জেলাবাসীর অগাধ বিশ্বাস বুড়া কালীর উপর। বলাই বাহুল্য, বহু অলৌকিক কাহীনি এই মন্দিরের সঙ্গে গোড়া থেকেই জুড়ে আছে। দেবীর কৃপায় বহু মানুষের নানা রকম সমস্যা মিটেছে বলে ভক্তদের বিশ্বাস। আর সেই কারণেই ভক্তদের সমাগম লেগেই থাকে এই বুড়া মা কালীর মন্দিরে।

advertisement

সুস্মিতা গোস্বামী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণ দিনাজপুর/
Dakshin Dinajpur: শোনা যেত নূপুরের শব্দ! পুজো দিতেন রানি রাসমণি, বুড়া মা কালীর মন্দির ঠিক কোথায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল