কোচবিহার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে এই ড্রোন নিয়ে আসা হয়েছে। এটি ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ে এবং ভালভাবে চাষের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা, সার স্প্রে করা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ড্রোন ব্যবহার করলে কৃষি কাজের সময় অর্ধেক কমে যাবে।
ড্রোন বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকদের দেখানো হচ্ছে। তবে খুব দ্রুত এই ড্রোনের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়বে। কৃষকেরা তখন এই ধরনের ড্রোন ভাড়া করে তা চাষের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। ট্রায়াল অনুষ্ঠানে গোটা বিষয়টি নিয়ে বেশ উৎসাহিত ছিলেন উপস্থিত কৃষকেরা। তাঁরা সকলে গোটা বিষয়টি শুরুর থেকে একদম শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে দেখেন। কৃষকদের বক্তব্য, যেভাবে ড্রোন চালিয়ে দেখানও হল, তা সত্যিই চাষের সময় ব্যবহার করতে পারলে অনেক উপকার হবে। সবচেয়ে বড় কথা ড্রোন চাষের কাজে ব্যবহার করতে পারলে খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: চুরির অভিযোগে রায়দিঘিতে গণধোলাই, আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ
কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও ড্রোন পাইলট শঙ্কর সাহা জানান, গোটা উত্তরবঙ্গে এই প্রথম কোচবিহার জেলাতেই কৃষি কাজে সহায়তার জন্য কোনও ড্রোন নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এই ড্রোন চালানোর জন্য তাঁকে পুনে গিয়ে ড্রোন পাইলট টেস্ট দিয়ে স্বীকৃতি নিয়ে আসতে হয়েছে। এই ড্রোন যদি কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা শুরু হয় তবে জেলায় জেলায় কৃষির মান আরও উন্নত হবে বলে মনে করছেন এই বিজ্ঞানী। শঙ্করবাবুর মতে, কৃষিকাজে ড্রোনের ব্যবহার বাড়লে কৃষকদের আয় অনেকটা বাড়বে। তিনি জানান আপাতত পরীক্ষামূলকভাবেই কৃষকদের গোটা বিষয়টি দেখানো হচ্ছে।।
সার্থক পণ্ডিত