সরকারি ভাবে তৎপরতা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে নদীর জল এভাবে বাড়তে থাকলে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের কারণে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বহু মানুষ। তোর্সা পাড়ে অবস্থিত এক গ্রামের বাসিন্দা বিপ্লব দাস জানিয়েছেন, “তোর্সা পাড়ের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে নদীর জল বাড়ার কারণে। যেভাবে গতকাল রাতের থেকে নদীর জলের স্তর ক্রমশ বেড়েই চলেছে তাতে অনেক মানুষ ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন।”
advertisement
আরও পড়ুন ঃ রেল লাইনের পাশে ওটা কী পড়ে? কাছে যেতেই আঁতকে উঠল এলাকাবাসী
তিনি আরও বলেন, “এছাড়াও ভাঙন কবলিত এলাকাগুলিতে আবারোও নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। জলের পরিমাণ এভাবে বাড়তে থাকলে নদীর পাড়ের মানুষদের বাঁধের ওপরে আশ্রয় নিতে হবে। তবে সরকারি ভাবে এখনোও বিভিন্ন এলাকায় ত্রিপল দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়নি। তাই বহু মানুষ ত্রিপলের না থাকায় চিন্তায় রয়েছেন। তবে কোচবিহারের রাণী বাগান, টাকাগাছ, ঘুঘুমারি এলাকায় ইতিমধ্যেই বহু মানুষ বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিতে শুরু করছেন। তাঁদের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছনো দরকার।”
এছাড়াও তোর্সা পাড়ের আরও দুই বাসিন্দা সুবল শীল ও মনিকা সরকার জানান, “বৃষ্টি গতকাল রাতের থেকে হয়েই চলেছে। এই বৃষ্টি একটুও থামছে না। মূলত এই বৃষ্টির কারণেই হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে নদীর জল। নদীর ওপারের মানুষ এপারের আসতে পারছেন না। তাই তাঁরা একপ্রকার নিরুপায় হয়ে বাড়ির মধ্যে আটকে রয়েছেন। বহু বাড়িতে জল ঢুকে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি ভাবে তাঁদের কাছে সাহায্য পৌঁছনো প্রয়োজন। নদীর জল এভাবেই বাড়তে থাকলে তোর্সা পাড়ের মানুষেরা বাধ্য হবেন বাঁধের ওপরে আশ্রয় নিতে।” তবে এই বিষয়ে কোচবিহারের সদর মহকুমা শাসক শেখ রাকিবুর রহমান জানান, “বিপর্যয় মোকাবেলা দল সবসময় প্রস্তুত রয়েছে প্লাবন পরিস্হিতি মোকাবেলা করার জন্য।”
Sarthak Pandit