মন্দিরের প্রতিষ্ঠা : এই মন্দির প্রতিষ্ঠার কোন সঠিক সময় পাওয়া যায়নি। তাই মন্দিরের প্রতিষ্ঠার বিষয় নিয়ে প্রচুর দ্বিমত রয়েছে। তবে কোচবিহারের প্রবীণ মানুষেরা মনে করেন। কোচবিহারের রাজারা কোচবিহার রাজবাড়ি বানানোর আগেই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
advertisement
মন্দিরের ঠিকানা : এই শিব মন্দিরটি কোচবিহার রাজ বাড়ির ঠিক পেছন দিকে তোর্সা নদীর বাঁধ ঘেঁষে রয়েছে। বাঁধের ওপরের কোচবিহার বাইপাস রোড থেকেও দেখা যায় মন্দিরটিকে।
আরও পড়ুনঃ সেতুতে জ্বলছে না আলো! ভরসা যানবাহনের আলোই
মন্দিরের অনলাইন গুগল লোকেশন:
মন্দিরের দেবতারা : এই শিব মন্দিরটিতে প্রবেশ দ্বারের একবারে সোজাসুজি রয়েছে বিশাল বট গাছের মধ্যে শিবের মন্দিরটি। এছাড়া মন্দিরে মা কালি, গণেশ এবং শনি দেবের মন্দির রয়েছে। মন্দির চত্বরের ভেতরে।
আরও পড়ুনঃ যানজটে নাকাল দিনহাটা! অবৈধ পার্কিং বন্ধের দাবি স্থানীয়দের
মন্দিরের খোলার সময় : সকালে ৮.৩০ মিনিটে খুলে দেওয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গণ। এবং মন্দির বন্ধ করা হয় রাত দুপুর ১.৩০ নাগাদ। এবং তারপর আবার বিকেল ৪টায় খুলে দেওয়া হয় মন্দির তারপর সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মন্দিরের পূজোর সময় : মন্দির সকালে খোলার পর পুজো করা হয় শিবের তারপর বাকি দেবতাদের পুজো হয়। আবার সন্ধ্যের সময় সন্ধ্যে আরতী করা হয় এখানে।
মন্দিরের পূজোর নিয়মাবলী : এখানে অনলাইন কোন পূজোর ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত চালু করা হয়নি। এছাড়া এখানে পূজো দেওয়ার বিশেষ কোন নিয়ম নেই। মন্দিরের এসে ভক্তি সহকারে যে কেউ এখানে পুজো দিতে পারবেন। কথিত আছে এখানের ঠাকুর খুবই জাগ্রত।
মন্দিরের সব থেকে বড় উৎসব : শিব চতুর্দশীর সময় এই মন্দিরে বড় পুজো করা হয়। এছাড়া শ্রাবণ মাসের সোমবারে শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য মন্দির প্রাঙ্গনে প্রচুর ভক্তদের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া অমাবস্যার সময় মা কালির পুজো করা হয় এখানে।
মন্দিরের অন্যান্য কিছু বৈশিষ্ট্য : রাজ আমলের স্থাপিত এই মন্দিরটিকে এখনো পর্যন্ত দেবোত্তর ট্রাস্টবোর্ড পরিচালনা করে না। এই মন্দিরটি পরিচালনা করেন একজন মাত্র পুজারী। তিনি এসে সকালে মন্দির খোলেন পুজো দেন। এবং মন্দির বন্ধের সময় তিনি মন্দির বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। এছাড়াও এই মন্দিরের পূজারী কোনরকম পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এখানে পূজা করেন না। এই মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য কোন রকম বিশেষ নিয়মাবলী নেই। যে কেউ এসে ভক্তি সহকারে এখানে পুজো দিতে পারেন। এই মন্দিরটিকে দীর্ঘদিন যাবত কোনও রকম সংস্কার করা হয়নি।
Sarthak Pandit