এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে দ্বারস্থ হয়েও কিছু লাভ হয়নি। তাদের বক্তব্য, "পঞ্চায়েতের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থের যোগান নেই। যা দিয়ে পঞ্চায়েত এই স্কুলের বাউন্ডারির দেওয়াল বানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবে।" তবে ইতিমধ্যেই এই স্কুলের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া বাউন্ডারি না থাকার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থ সরকার সমস্ত স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে একপ্রকার কাতর আর্তি জানাচ্ছেন। যাতে দ্রুত এই বাউন্ডারি দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। স্কুলের ক্লাস চলাকালীন সময় সমস্ত শিক্ষকেরা ব্যস্ত থাকলে কোন শিশু যদি স্কুল চত্বর পেরিয়ে রাস্তার একদম কাছে পৌঁছে যায় তবে আর শেষ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন : রক্সি ভবনের নীচে দখলদারদের সরিয়ে দোকান সিল করল কলকাতা পুরসভা
স্কুলের পড়ুয়াদের অধিকাংশ অভিভাবকদের বক্তব্য, "স্কুলের শিক্ষকরা যত সম্ভব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসনিক মহলের কোনরকম ভ্রুক্ষেপ নেই বিষয়টি নিয়ে। তারা এক প্রকার চরম উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। যদি দ্রুত এই স্কুলের বাউন্ডারির দেওয়াল দেওয়ার ব্যবস্থা না করা হয় এবং যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে সেই দায়িত্ব কি সরকারি মানুষেরা নেবেন?"
স্কুলের আশে পাশের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, "স্কুলে প্রায় ১৫০ জন ছোট শিশু রয়েছে। তাদের অধিকাংশই সকাল সকাল স্কুলে চলে আসে। তবে স্কুলের দেওয়াল না থাকার কারণে তারা মাঝে মধ্যে রাস্তার কাছে চলে যায়। এই রাস্তা দিয়ে সব সময় ছোট এবং বড় গাড়ি চলাচল করতে থাকে। যেকোনও সময় কোন স্কুল পড়ুয়া দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে।"
আরও পড়ুন : প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি ডায়মন্ড হারবার বনাম বজবজ
তবে কেন স্থানীয় প্রশাসনিক মহল এই বিষয় নিয়ে কোন রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নারাজ সেই বিষয়েও সাধারণ মানুষের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকেও কেন কোনও রকমের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না সেই বিষয়ে রীতিমত ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে পড়ুয়াদের ও অভিভাবকদের মধ্যে।