কখনও দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে তিনি বন্ধুদের দিয়ে কিনিয়ে এনেছেন রেডিও আবার কখনও নিজেই গিয়ে কিনে নিয়ে এসেছেন এই সমস্ত দুষ্প্রাপ্য রেডিও। তাঁর বাড়িতে সবচেয়ে পুরনো রেডিওটি ছয়ের দশকের। এছাড়াও সাতের এবং আটের দশকের বেশ কয়েকটি রেডিও রয়েছে তাঁর সংগ্রহের তালিকায়।
আরও পড়ুন: গাঢ় না হালকা…? কোন ডিমের কুসুম বেশি স্বাস্থ্যকর? কেনার আগে সত্যিটা জানুন!
advertisement
ড আলোক সাহা জানান, “একটা সময় ছিল যখন মানুষ মহালয়ার দিন সকালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনী শুনতেন রেডিওর মাধ্যমে। তবে বর্তমান সময়ে মোবাইল এবং টিভি আসার কারণে মানুষ রেডিওর ব্যবহার এক প্রকার ভুলতে বসেছেন। তবে তিনি এই বিষয়টি ভুলতে পারেননি। ছোট বেলায় বাবা এবং কাকাদের সঙ্গে বসে প্রতি সন্ধ্যায় রেডিওতে অনুষ্ঠান শোনার বিষয় ছিল তাঁর নিত্য দিনের অভ্যাস। সেই অভ্যাস থেকেই তাঁর এই রেডিও সংগ্রহের নেশার সূত্রপাত। বর্তমানে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে মোট ৩০টি রেডিও। সেগুলির মধ্যে ২৬টি রেডিও একেবারে সচল অবস্থায় রয়েছে। আর বাকি ৪টির সামান্য কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে ঠিক করলে সেগুলিও একেবারে সচল হয়ে যাবে।”
তিনি আরও জানান, “একটি সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদে কর্মরত তিনি। তবে সেখানেও তিনি রেডিও রেখেছেন। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই রেডিও শুনতে থাকেন তিনি। এছাড়াও প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় রেডিওর মাধ্যমেই খবর শোনেন তিনি। তাই পুরনো স্মৃতির কথা মাথায় রেখে এবছর মহালয়ার সকালে তার বাড়ির সমস্ত রেডিওতে একসঙ্গে তিনি মহালয়া শুনবেন। এমনটাই ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। সেইজন্য তিনি তাঁর সমস্ত রেডিও ইতিমধ্যে গুছিয়ে রাখতে শুরু করেছেন।” তাই এই বছর টিভিতে আর মহালয়া বাজবে না সাহা বাড়িতে। সাহা বাড়ির রেডিওর আওয়াজের মাধ্যমেই প্রতিবেশীদের কানে যাবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলার মহালয়ার সেই রেডিওর আওয়াজ।
সার্থক পণ্ডিত