তারপর তিনি সেখানে একটি ধাম প্রতিষ্ঠা করেন। এবং এখানেই তিনি নিজেকে সমাধিস্থ করেন। তখন থেকেই এই ধামের গুরুত্ব আরোও বেড়ে ওঠে। বর্তমানে এই ধাম কোচবিহারের একমাত্র মন্দির যেখানে যাবতীয় বিষয় পরিচালনা করা হয় অসম সরকার দ্বারা। এবং অসম সরকার এখানের যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে আর্থিক অনুদান ও বরাদ্দ করে থাকে।
advertisement
তবে বৈষ্ণব ধর্মে রথের মেলার গুরুত্ব রয়েছে অনেক খানি। আর মূলত সে কারণেই এই ধাম বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের হওয়ার কারণে এখানে একটা সময় রথের মেলা আয়োজন করা হতো। তবে বেশ কিছু কারণের জন্য এখানে রথের মেলা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের এই পবিত্র ধামে আর কোন রথের মেলায় আয়োজন করা হয় না।
মধুপুর ধামের সত্রাধিকারী পীতাম্বর রায় ভকত জানান, \”এই ধামে বিশেষ বিশেষ কিছু তিথিতে কিছু পুজো পার্বণের আয়োজন করা হয়। তার মধ্যে প্রধান হল ধর্মগুরু শংকরদেবের জন্মতিথি ও প্রয়াণ তিথি। এছাড়াও এখানে রাস উৎসব পালন করা হয়। রাস উৎসবের উপলক্ষে এখানে মেলাও বসে।\”
তিনি আরোও জানান, \”ধর্মগুরু শংকর দেব তাঁর শেষ বয়সে ধর্ম প্রচার করতে কোচ রাজ্যে এসেছিলেন তার বেশ কিছু শিষ্যদের সঙ্গে। তখন তিনি এই মধুপুর এলাকায় এই ধামের প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়েই দেহ ত্যাগ করেন। তখন থেকে এই ধামের মাহাত্ম্য আরো অনেকটাই বেড়ে ওঠে বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের কাছে।
আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় তাপপ্রবাহ-অস্বস্তি! সন্ধের ঝড়বৃষ্টি নিয়ে সুপার আপডেট
বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের অন্যান্য সকল মন্দিরে, জাঁকজমকের সাথে রথ উৎসব পালন করা হলেও এখানে এখন আর রথ উৎসব পালন করা হয় না। তবে একটা সময় এখানেও জাঁকজমকের সাথে রথ উৎসব পালন করা হতো। তবে আগে যারা এখানকার দায়িত্বে ছিলেন তারা সঠিকভাবে সেই রথ উৎসব পরিচালনা করতে পারেননি। মূলত সেই কারনের জন্যই ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এখানকার রথ উৎসব।\”
Sarthak Pandit