সুমন বর্মন নামে একজন তামাক চাষি জনান, \"একটা সময় আমাদের এলাকার অনেক চাষীরা এই তামাক চাষ করতো। তখন তামাক চাষে মুনাফা ছিল অনেকটাই বেশি। তারপর ধীরে ধীরে তামাক চাষের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম অসুবিধা সৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই সকল চাষীরা একটা সময় তামাক চাষ একদমই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে আবার মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পুরনো এবং নতুন প্রজন্মের চাষীরা এক সাথে এই তামাক চাষে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে।\"
advertisement
আরও পড়ুনঃ খোল্টা ইকো- পার্কের বেহাল দশা! পরিচর্যার অভাবে ধুঁকছে পার্ক
তামাক চাষে কোচবিহার জেলার এই ভাগ্য পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে কোচবিহারের একজন কৃষি বিশেষজ্ঞ জানান, \"পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ভৌগলিক অবস্থান হল ২৬°২১' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°২৭' দ্রাঘিমাংশ যেটি মূলত হিমালয় পর্বতের পাদদেশের সমভূমি। তাই এই কোচবিহার জেলা তামাক চাষের জন্য একটি উপযুক্ত কৃষি জলবায়ুর এলাকা।\"
আরও পড়ুনঃ সরকারি অধিগ্রহণেই ঘুচবে কষ্ট, আশার আলো দেখছে কোচবিহার ক্যান্সার সেন্টার
মূলত সেই কারণেই কেন্দ্রীয় তামাক গবেষণা প্রতিষ্ঠান (CTRI) ১৯৫১ সালে কোচবিহারে একটি আঞ্চলিক তামাক গবেষণা কেন্দ্রও স্থাপন করে। তবে বিভিন্ন সামাজিক কারণেএবং প্রচুর অসুবিধার সম্মুখীন হওয়ার ফলে কোচবিহারের তামাকের চাষীরা একটা সময় তামাক চাষ থেকে নিজেদের মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। হয়তো সে অসুবিধার জায়গাগুলো ঠিক হয়ে গেছে। সেই কারণেই পুরনো এবং নতুন দুই প্রজন্ম কেই তামাক চাষে আবার ফিরে আসতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।\"
Sarthak Pandit