একটা সময় কোচবিহার রাজারা এই পুজোর তত্ত্বাবধানে থাকতেন। বর্তমান সময়ে রাজারা আর নেই। তাই এই পুজোর সবকিছু পরিচালনা করে কোচবিহার দেবতার ট্রাস্ট বোর্ড। আর মাত্র হাতে গোনা একটা দিন বাকি। তাই পুজোর প্রস্তুতি একেবারে শেষ মুহূর্তের তোড়জোর চলছে। কোচবিহার মহারাজাদের সূচনা করা এই মহালক্ষ্মীর পুজোর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন এখানে লক্ষ্মী দেবীর পাশে থাকেন না তার বাহন প্যাঁচা। তার বদলে থাকেন এখানে চারটি সাদা রংয়ের হাতি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা গাড়ির! আশঙ্কজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি দুই
এছাড়া এই মহালক্ষ্মীর পুজোর সময় এখানে পুজো করা হয় ইন্দ্র দেবেরও। দেবী এখানে ত্রিনয়না। এছাড়াও দেবীর চারটি হাত দেখতে পাওয়া যায়। দেবীর হাতে এখানে থাকে পদ্ম, ধানের ছড়া, একটিতে তিনি দেন সকলকে আশীর্বাদ এবং অন্য আরেকটিতে তিনি ধরে রাখেন মঙ্গল কৌটো। মদনমোহন মন্দির স্থাপনের পর থেকে এই মহা লক্ষ্মীর মূর্তি মদনমোহন মন্দিরের কাঠামিয়া মন্দিরে তৈরি হয়ে আসছে। বংশ পরম্পরায় এই মূর্তি তৈরি করে আসছেন একজন প্রতিমা শিল্পী।
আরও পড়ুনঃ ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে আজও লক্ষ্মীর মাটির সড়া তৈরি করেন কোচবিহারের মৃৎশিল্পীরা
প্রতিমা শিল্পী প্রভাত চিত্রকর বলেন, "আনুমানিক প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ বছর ধরে আমি এই মূর্তি তৈরি করে আসছি। আগে আমার পূর্বপুরুষেরা এই মূর্তি তৈরি করতেন রাজ আমলের রাজাদের জন্য। পরবর্তী সময়ে এই মূর্তি তৈরির দায়িত্ব পাই আমি। বর্তমানে রাজ আমল অতীত এখন দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড এই পুজোর সমস্ত কিছু পরিচালনা করে। তবে রাজ আমলের প্রাচীন রীতি প্রথা ও ঐতিহ্য মেনে এখনো পর্যন্ত একই রকম ভাবে এই মূর্তি তৈরি করা হয় মদনমোহন মন্দিরের কাঠামিয়া মন্দিরে।"
Sarthak Pandit