আরও পড়ুন: তিস্তার অভিশাপ মুক্ত হতে চলেছে ডুয়ার্সের এই রেল জংশন, ঐতিহ্যের অতীত ফেরার আশা
দুর্গাপুজো একেবারে সামনে চলে আসায় প্রতিমা শিল্পীদের মতই ব্যস্ততা তুঙ্গে আলোক শিল্পীদের। বর্তমানে কোন পুজো কমিটির আলোকসজ্জা কত ভাল হল তা নিয়ে প্রতিযোগিতা হয় গোটা বাংলাজুড়ে। পুজো কমিটিগুলোর মধ্যে এই নিয়ে চলে রেষারেষি। সেই তালিকা থেকে বাদ নেই কোচবিহার জেলাও। তার ফলে প্রতিবছর নতুন নতুন আলোকসজ্জা এনে দর্শকদের চমকে দেওয়ার গুরু দায়িত্ব থাকে আলোক শিল্পীদের উপর। নিত্য নতুন ডিজাইনের আলোর রোশনাই বানাতে হচ্ছে তাঁদের। দিনরাত এক করে নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। কোচবিহারের এই আলোক শিল্পীদের তৈরি বাহারি নকশার আলো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ছোট-বড় দুর্গাপুজো মণ্ডপকে আলোকিত করে তোলে, মুগ্ধ করে মানুষকে।
advertisement
তাঁদের কাজও ব্যস্ততা প্রসঙ্গে কোচবিহারের আলোক শিল্পী সমর বর্মন বলেন, এই বছর অনেক জায়গা থেকে অর্ডার এসেছে। তাঁদের নিজের হতে তৈরি করা ডিজাইনের লাইট বোর্ড যাবে বহু জায়গায়। ফলে এই মুহূর্তে ব্যস্ততা তুঙ্গে। সারাদিন কাজ করেও অর্ডার সামলানো যাচ্ছে না। তবে তাঁদের অর্ডার বাড়ায় খুশি সমরবাবু। এবছর কিছুটা হলেও অর্থের মুখ দেখতে পাবেন বলে জানালেন।
আলোর বোর্ডের ব্যবসায়ী দুলাল শিকদার আবার জানান, আলোক শিল্পীদের তৈরি নিত্য নতুন ডিজাইনের আলোর চাহিদা তৈরি হয়েছে কোচবিহারে। এই বছর কোচবিহারেও পুজো দারুন জাঁকজমকের সঙ্গে হচ্ছে। তাই আলোর রোশনাই দরকার পড়বে প্রচুর পরিমাণে। ইতিমধ্যে অর্ডার আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। বাইরে থেকেও প্রচুর অর্ডার আসতে শুরু করেছে। তাঁরা সব জগতেই অর্ডার পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের আলোক শিল্পীরা দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন গত একমাসেরও বেশি সময় ধরে। এই বছর সব জায়গাতেই পুজো ভালো হচ্ছে। তাই এই বছর অর্ডারের সংখ্যা বেশ অনেকটাই বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পারছেন তাঁরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর মুনাফার পরিমাণ অনেকটাই বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান।
সার্থক পণ্ডিত