আরও পড়ুন:
মন্দিরে পুজো দিতে আসা এক ভক্ত মল্লিকা রায় জানান, “কামতেশ্বরী মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে কোনও প্রবেশ মূল্য দিতে হয় না। তবে এই মন্দিরে পুজো দিতে এবং ভোগ নিবেদন করতে সামান্য কিছু মূল্য প্রদান করতে হয়। এছাড়া এখানে দুপুরের মধ্যে দেবতাদের ভোগ নিবেদন করা সম্পন্ন করে প্রসাদ বিতরন সম্পন্ন করা হয়। সন্ধ্যার দিকে এই মন্দিরে কোন পুজো করা হয় না। ভোগ নিবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে মন্দিরের দেবতাদের মূর্তি ঢেকে দেওয়া হয়।” মন্দিরের আরেক ভক্ত প্রলয় কুমার রায় জানান, “এই মন্দিরের নিয়ম এবং রীতিনীতি অন্য বাকি সব মন্দিরের চাইতে একদম আলাদা। পরিবারের সঙ্গে ছুটির দিনে ঘুরতে আসতে পারেন কামতেশ্বরী মন্দিরে। এছাড়া এখানে পুজো দিলে সকল মনস্কামনা পূর্ণ হয়।”
advertisement
আরও পড়ুন: টানা পাঁচ দিন চলে মনসা পুজো! মায়ের ৪২টি রূপের পুজো হয় এই মন্দিরে!
এই মন্দিরের পূজারী পরিতোষ ঝা জানান, “খেন এবং কোচ রাজবংশ উভয়েই কামতেশ্বরী দেবীর উপাসক ছিলেন। তবে এটি এখন স্বীকৃত যে এই কামতেশ্বরী মন্দিরটির মূল মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তারপর বর্তমান মন্দিরটি কোচবিহার রাজ্যের মহারাজা প্রাণ নারায়ণ ১৬৬৫ সালে সংস্কার করে তৈরি করেছিলেন। কামতেশ্বরী মন্দিরের অভ্যন্তরে দুটি শিব লিঙ্গ, একটি ব্রহ্মার মূর্তি, একটি শালগ্রাম বা নারায়ণ শিলা, অষ্টধাতু (আটটি ধাতুর মিশ্রণ) দিয়ে তৈরি একটি গোপাল মূর্তি এবং সূর্য দেবের একটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের উত্তর দিকের দেওয়ালে পাল যুগের আরেকটি সূর্যমূর্তি এবং মন্দিরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে পাল যুগের একটি বিষ্ণু মূর্তি রয়েছে। পরের দুটি মূর্তিই অন্য কোথাও থেকে এনে এই মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে। মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে আরেকটি শিবলিঙ্গ স্থাপিত রয়েছে।”
Sarthak Pandit