আরও পড়ুন: ফুঁসছে নদী, লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই চলছে ঝুঁকির নৌ পারাপার
কাউন চালকে কেন্দ্র করে এই খাদ্য মেলা আয়োজন প্রসঙ্গে সাতমাইল সতীশ ক্লাব ও পাঠাগারে সম্পাদক তথা কৃষি বিশেষজ্ঞ অমল রায় জানান, সারা বিশ্বব্যাপী চলছে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিলেট-২০২৩। তারই অংশ হিসেবে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এটা এক ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান। কাউন চাষ বাংলার মাটি থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই কাউন চালের চাষ পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্যই এই খাদ্য উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানান দিনহাটা, মাথাভাঙা, কোচবিহার থেকে বহু খাদ্য রসিক মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
advertisement
কোচবিহার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিজ্ঞানী ডক্টর শঙ্কর সাহা জানান, মিলেট বা কাউন চাল একটি পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু এটি হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই সাতমাইল সতীশ ফার্মার প্রোডিউসার প্রোমোটিং সংস্থা একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। নাবার্ডের আর্থিক সাহায্যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার মধ্যে নানা ধরনের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাউন চালের চাষ বিস্তার করা সম্ভব হবে। কৃষকদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। বীজ উৎপাদন, কাউন চাল প্রসেসিং মেশিন, কাউনের লাড্ডু, নুডলস, বিস্কুট তৈরি করা হবে। ফলে কৃষকরা লাভবান হবেন এবং কাউন চালের চাষ বাড়বে।
এক সময় মিলেট বা কাউন চালের চাষ বহুল ব্যবহৃত হতো ভারতবাসীদের মধ্যে। কিন্তু আজকের সাধারণ চাল যত জনপ্রিয় হয়েছে ততই মিলেটের ব্যবহার কমেছে। কিন্তু কাউন চালশরীরের পুষ্টির জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। আর তাই সরকার চেষ্টা করছে কাউন চালের চাষ বাড়ানোর জন্য।
সার্থক পণ্ডিত