মূলত নদীর ধারের এই দোকানে বসেই দেখা যায় নদীর সৌন্দর্য্য। এছাড়াও গাছ পালায় ভর্তি এলাকায় রয়েছে স্নিগ্ধ বাতাসের ছোঁয়া। কোচবিহারের এক চা প্রেমী রাজর্ষি রায় জানান, “প্রতিদিন বিকেলে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় এই জায়গার পরিবেশে একটা মায়াবী ছোঁয়া উপলব্ধি করা যায়। হতে এক কাপ গরম চা নিয়ে বসে নদীর দিকে তাকিয়ে থাকলে যেকোন মানুষ মুহূর্তে দিনের ক্লান্তির কথা ভুলে যেতে পারবেন। এছাড়াও বন্ধু কিংবা পরিবারের মানুষদের সঙ্গে বসে আড্ডা দিতে দিতে চা এর মজার পাশাপশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য যথেষ্ট মন মুগ্ধকর। এই দোকানে বসলে আশেপাশের গাছ পালার সুন্দর হওয়া পাওয়া যায়। এছাড়াও বৃষ্টির মরশুমকে আরোও বেশি উপভোগ করা যায় এই দোকানে বসে চায়ের মজা নিতে নিতে। তবে এই পরিবেশ কোচবিহারের শহরের মাঝের চায়ের দোকানে পাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়।”
advertisement
আরও পড়ুন ঃ ‘মানুষ পছন্দ করছে’, পরপর দু’বার একই প্রতীকে ভোটের ময়দানে রোসনা
দোকানে আসা আরেক চা প্রেমী রুই দাস বর্মন জানান, “এই পরিবেশ সকালে ও বিকেলে অনেকটাই সুন্দর হয়ে ওঠে। যে সমস্ত মানুষেরা একান্তে চায়ের সাথে প্রাকৃতিক পরিবেশের মজা উপভোগ করতে চান তাঁরা এখানে আসতেই পারেন। তবে তিনি এইখানে নতুন এসেছেন। আগে তিনি বহু জায়গায় চা খেয়েছেন। তবে এখানের মতন মানসিক তৃপ্তি তিনি অন্য কোন চায়ের দোকানে পাননি। তাই রোজ অন্তত একবার তিনি সময় পেলেই এই দোকানে আসেন।” এই চায়ের দোকানের কর্নধার দেবাশীষ অধিকারী জানান, “মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি দুর করার জায়গা শহরের কংক্রিটের দেওয়ালের মাঝের চায়ের দোকানে পাওয়া সম্ভব নয়। মূলত সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই এই দোকানের সূত্রপাত। এখনো পর্যন্ত বহু মানুষ এই দোকানের পরিবেশকে পছন্দ করেছেন।”
Sarthak Pandit