তবে এ বছরই প্রথম নয়, বিগত পাঁচ বছর ধরে পুজো আসার আগেই এই ধরনের মূর্তি তৈরি চলছে সোমার পরিবারে। শুকনো লঙ্কার ডাঁটি কিংবা হোক আদার আঁশ এ ধরনের জিনিস দিয়ে মূর্তি তৈরি চিন্তাভাবনাই করতে পারেন না অনেকে। তবে এই চিন্তা করতে পেরেছিলেন সোমা। তাইতো রান্নাঘরে ব্যবহৃত ২৬ ধরনের মশলাপাতি ও খাদ্যশস্য দিয়ে দুর্গা প্রতিমা গড়েছিলেন গতবছর।২০২০ সালে সোমা একটি দেশলাই কাঠির উপর মডেলিং ক্লে দিয়ে ছোট্ট দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছিলেন। সিল্কের সুতো দিয়ে তৈরি হয়েছিল দেবীর চুল এবং সোনামুখী সূচের ভাঙ্গা একটি টুকরো দিয়ে তৈরি হয়েছিল দেবীর ত্রিশূল। আর এই দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দুর্গা প্রতিমা তৈরীর খেতাব মিলেছিল একটি সংস্থার পক্ষ থেকেও। কোচবিহার শহরের দেবীবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন সোমা।
advertisement
আরও পড়ুন : ৪০০ বছর পার করে আজও অমলিন ক্যানিংয়ের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজো
আরও পড়ুন : দাদা প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় ভাইপোকে শ্বাসরোধ করে খুন কাকার
আগে তিনি একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন এবং তার স্বামী ড: সৈকত মুখোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মরত। এছাড়া তাঁর একমাত্র ছেলে এলাহাবাদে পড়াশোনা করছে। বর্তমানে আর স্কুলে পড়ান না তিনি। তাই সংসারের সমস্ত কাজ নিজে হাতে সামলানোর পর এ ধরনের হাতের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। এ ধরনের অন্যরকম মূর্তি তৈরির বিষয় নিয়ে সোমা বলেন, "২০১৮ সালে যখন বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতাম, তখন পুজোর ছুটিতে আমাদের মডেল তৈরি করতে দেওয়া হয়েছিল। সে সময় একটি ছোট্ট প্রতিমা তৈরি করি। বহু মানুষ প্রশংসা করেছিলেন সেটির। তখন থেকেই প্রতিমা তৈরির ধারণা মাথায় আসে। তবে ছোটবেলা থেকেই হাতের কাজ করতে ভালবাসি।"