কোচবিহারের এক প্রবীণ বাসিন্দা আনন্দজ্যোতি মজুমদার জানান, “এই ট্যাঙ্ক কোচবিহারের নিয়ে আসার পর দীর্ঘ দিন পর্যন্ত কোচবিহারের চিলারায় সেনা ছাউনিতে পড়ে ছিল। তারপর কোচবিহারের তৎকালীন জেলা শাসক সেটিকে নিয়ে এসে রাখেন কোচবিহার সাগরদিঘি চত্বরে। সেখানে সেটিকে বাচ্চাদের ও বড়দের মনোরঞ্জন করেছে বহু দিন। সেটির ভিতরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও তখন কোন বাধা ছিল না। তবে একপ্রকার অবহেলায় নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে সেটি। তবে পরবর্তী সময়ে কোচবিহারের প্রাক্তন সেনা কর্মীদের সংগঠন এই ট্যাঙ্ক এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিজেদের কাঁধে তুলে নেন। বর্তমান সময়ে এই ট্যাঙ্ক সাগরদিঘী চত্বরের শোভা বাড়িয়ে তুলছে। এছাড়াও প্রচুর মানুষ এই ট্যাঙ্ক দেখতে আসেন।”
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এসব কী পাওয়া গেল মুর্শিদাবাদে? ভয়াবহ
তিনি আরও জানান, “বর্তমান সময়ে এই ট্যাঙ্ক এর চারিপাশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে বেশ সুন্দর ভাবে। যাতে যেকোন মানুষ খুব সহজে সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। এবং ট্যাঙ্ক রঙ করা থেকে শুরু করে সেখানে তৈরি করা হয়েছে একটি শহীদ বেদি। সুন্দর ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে এই ট্যাঙ্কটিকে। পশ্চিমবঙ্গের মাত্র দুটি জায়গায় এই ট্যাঙ্ক রয়েছে বলে জানা যায়। একটি রয়েছে বালুরঘাটে আর একটি রয়েছে কোচবিহার জেলায়। বহু বাইরের পর্যটক কোচবিহারে আসলে এই ট্যাঙ্ক এর দেখতে ভিড় জমান। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি বহন করে চলেছে এই প্যাটন ট্যাঙ্ক।
কোচবিহার খবর (Cooch Behar News)
Sarthak Pandit