দিবালোকে এই ঘটনার চিহ্নমাত্র ছিল না এলাকা জুড়ে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ থেকে ছয়টি বাড়িতে আগুন লেগেছে। তবে সব ক্ষেত্রেই তুফানগঞ্জ মহকুমা এলাকার দমকল বাহিনীরা তৎপরতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন। এছাড়াও এলাকার মানুষরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন দমকল বাহিনীর সঙ্গে। অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী ভাবে লাগছে এই আগুন? এবং শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরই কেন লাগছে আগুন?
advertisement
আরও পড়ুন: পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার, কিন্তু রিমার জীবনের 'নেশা' অন্য! তারিফ করতেই হবে
খড়ের গাদায় আগুন লাগার একজন প্রত্যক্ষদর্শী কার্তিক দাস বলেন, "প্রতিদিন সন্ধের অন্ধকার নামার পর থেকেই দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। কারণ অন্ধকার নামলেই যে কোনও বাড়ির খড়ের গাদার মধ্যে আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকছে। আমার বাড়ির খড়ের গাদায় দু'দিন আগেই আগুন লেগেছিল।" তবে এই ঘটনার অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী সৌরভ কুমার সরকার জানান, তাঁর বাড়ির খড়ের গাদায় যেই সময় আগুন লেগেছিল, তখন তিনি দু'জন ব্যক্তিকে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে দেখেছিলেন। তিনি প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন এই ঘটনা কোনও অলৌকিক বিষয় নয়। এর মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড।
আরও পড়ুন: মারের চোটে চোখে আঘাত ব্যবসায়ীর, দোলের দিন বাড়িতে মদ্যপদের হামলা! ক্যানিংয়ের কাণ্ড
বিগত কিছু দিন ধরে এই আগুন লাগার ঘটনার পাশাপাশি এলাকায় চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনারও সূত্রপাত হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিভিন্ন বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চুরি, ছিনতাই কিংবা ডাকাতি করা হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে কারা জড়িত, এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনও ধারণা পাওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।
সার্থক পণ্ডিত