তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন এই মানুষেরা। এই হস্ত চালিত তাঁত শিল্পীরা সকল স্তরের কাছে সরকারি সাহায্যের জন্য কাতর আর্তি জানাচ্ছেন। যদি সরকারি সাহায্য এই মানুষদের দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়। তবে জীবনযাপন করতে কিছুটা হলেও সুবিধা হবে এই মানুষদের।
আরও পড়ুন: সব জল্পনার অবসান! মমতার সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক কেন, স্পষ্টভাবেই কারণ জানিয়ে দিলেন সৌরভ
advertisement
এক হস্ত চালিত তাঁত শিল্পী যতীন্দ্র রায় জানান, "দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেছে এই তাঁতের কাজ করতে করতে। তবুও সরকারি সাহায্য মেলেনি কিছুই। গত এক বছর ধরে শুধুমাত্র বৃদ্ধ ভাতা পেয়েছেন। তবে এই প্রাচীন ঐতিহ্য হস্ত চালিত তাঁত মেশিন ও শিল্পীদের বাঁচিয়ে রাখতে এখনোও পর্যন্ত কোন সরকারি সুযোগ কিংবা সুবিধা পায়নি কোন শিল্পী।" তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন কে কেন্দ্র করে আবার আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন এই শিল্পীরা। দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজ করে সংসার চালিয়ে আসলেও। বর্তমান সময়ে এই পেশার ওপর নির্ভর করে সংসার চালানো রীতিমত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই এই বিকল্প পেশা বেছে নিয়েছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: রাঘব বোয়াল থেকে চুনো পুঁটি, ৫১৭ বছরের এই মেলা মাছপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ! কোথায় হয় জানেন?
বর্তমান সময়ে অনেকেই বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে নিজেদের তাঁতের মেশিন। তবে গ্রাম বাংলার বহু মানুষ এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে এখনোও পর্যন্ত রীতিমত আঁকড়ে ধরে রয়েছে হস্ত চালিত তাঁত মেশিনকে। কোচবিহারের কালিঘাট এলাকায় তাঁত শিল্পীদের কাহিনীও তাদের থেকে আলাদা কিছু নয়। এখনও নিপুণ হাতে তাঁত মেশিন চালিয়ে অসম এর গামছা, মেখলা তৈরি করে চলেছেন এই শিল্পীরা। তবে সরকারি সাহায্য না পেলে বেশিদিন এই শিল্প ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। পেটের তাগিদে এই শিল্প ছাড়তে বাধ্য হবেন এই মানুষেরাও। তাই এই মানুষদের কাতর আর্তি শুনে দ্রুত এদের সহায়তায় এগিয়ে আসা উচিত সরকারের।
সার্থক পণ্ডিত