রেস্তরাঁর কর্ণধার বিশাল সিং জানান, ‘‘একটা সময় তিনি অন্য এক রেস্তরাঁর রাধুনি হিসেবে কাজ করতেন। বিগত বেশ কিছুটা সময় আগে সেখানের কাজ ছেড়ে নিজের রেস্তরাঁ খোলেন তিনি। তাঁর ইচ্ছে ছিল নামীদামি রেস্তরাঁর দামি খাবার তিনি সকলের জন্য কম দামে তৈরি করবেন। তাঁর রেস্তরাঁর মধ্যে কম দামে ভাল খাবার তিনি পরিবেশন করবেন সকলকে। তাই এই বাটার নানের কথা তাঁর মাথায় আসে। বেশ কিছুটা সময় ধরে তিনি এই নান তৈরি করে বিক্রি করছেন। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তাঁর রেস্তরাঁর এই নানের কথা ছড়িয়ে পড়েছে চার পাশে। তাই এখন মানুষের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। পুজোর সময় এই চাপ আরও অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় সম্ভবনা রয়েছে।’’
advertisement
রেস্তোরাঁর এক গ্রাহক মহম্মদ মিঁয়া জানান, ‘‘প্রথমে দোকানে গ্রাহকের সংখ্যা কম থাকলেও এখন বেড়েছে অনেকটাই। আগে বেশ তাড়াতাড়ি যে কোনও জিনিস পাওয়া সম্ভব হত। এখন একটু অপেক্ষা করতে হয়। একের পর এক গ্রাহক এসেই থাকে এই রেস্তরাঁর মধ্যে। তবে এই রেস্তরাঁর এই বাটার নানের নাম ছড়িয়ে পড়েছে কোচবিহারের বিভিন্ন প্রান্তে। পুজোয় ব্যাপক ভিড় জমবে দোকানে এমনটাই মনে হচ্ছে তাঁর।
রেস্তরাঁর নান প্রস্তুতকারী তাপস মন্ডল জানান, “অন্যান্য নামীদামি রেস্তরাঁর মধ্যে যেভাবে নান তৈরি করা হয়, এখানেও ঠিক একই ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। তবে দাম কম থাকায় ফলে তৈরি করার পর মুহূর্তে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সমস্ত নান।” পুজোর সময় এই রেস্তোরাঁর বাটার নান পকেটে চাপ না দিয়েই খাদ্যরসিকদের দিতে পারবে রসনা তৃপ্তির সুযোগ।