মাথাভাঙার রেঞ্জ অফিসার সজল পাল বলেন, "লোকালয়ে বাইসনের ঘুরে বেড়ানোর খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ট্রাঙ্কুলাইজিং টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। তবে সেই এলাকায় পৌঁছোনোর আগেই বাইসনটি আলিপুরদুয়ার এলাকা হয়ে জলদাপাড়া জঙ্গলে ঢুকে যায়। তবে বাইসনের হামলায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আচমকাই লোকালয়ে বাইসন ঢুকে পড়ার কারণে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে।"
advertisement
কুচবিহার জেলায় সর্বশেষ তুফানগঞ্জ এলাকায় হাতি ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল লোকালয়ের মধ্যে। তারপরে দীর্ঘ দিন বাদে লোকালয়ে আবার বন্য জন্তুর আগমন। পুজোর সময় লোকালয়ে বন্য জন্তুর আগমনে এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও কোনওরকম দুর্ঘটনা কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ বর্মন বলেন, "এদিন আমরা আচমকাই এলাকায় একটি বন্য বাইসনকে ঘুরে বেড়াতে দেখি। বাইসনটিকে দেখে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তার পর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায় ও বন দফতরের কর্মীদের। যদিও তারা আসার আগেই বাইসনটি এলাকা ছেড়ে জঙ্গলের দিকে চলে যায়।"
তবে বাইসনটি কী করে জলদাপাড়া ফরেস্ট থেকে লোকালয়ের মধ্যে এতটা দূর চলে এল, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বনদফতরের আধিকারিকেরা।