এই সমস্ত কারণে তোর্ষা বাঁধের কোচবিহারের বাইপাস রাস্তা আজ একটা আস্ত একটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। তবে এই বিষয় গুলি নিয়ে রীতিমত উদাসীন জেলা প্রশাসনিক মহলের একাংশ। এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য “এলাকার কিছু মানুষ বাঁধের রাস্তা দখল করে বাড়ি বানানোর সামগ্রি রেখে দিয়েছে এবং অনেকে তো নিজের গাড়িও রাখছেন তার ফলে সেই জায়গা গুলিতে রাস্তার অংশ ছোট হয়ে গিয়েছে। এই সব কারণে যেকোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে কাউকে বলে কোন লাভ হচ্ছে না।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাসমেলা শেষ, তাতে কী! মুর্শিদাবাদের কম্বল কিনতে রাস্তার পাশেই ভিড় জমাচ্ছে কোচবিহারবাসী
কোচবিহার শহরের যানবাহনের ভীড় একটা সময় এতটাই বেশী মাত্রায় ছিল যে, সেই ভিড় কমাতে কোচবিহার জেলা প্রশাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করে তোর্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে কোচবিহার শহরের একটি বাইপাস রাস্তা করার। সেই পরিকল্পনা মতন কাজও সম্পন্ন করা হয়। যে রাস্তাটি তৈরি হয় সেটি খাগড়াবাড়ি এলাকা থেকে সোজা ঘুঘুমারি এলাকাতে গিয়ে মিশেছে। এই রাস্তাটি যখন নির্মান করা হয় তখন তার দায়িত্ব ছিল পাবলিক ওয়ার্কার্স ডিভিশনের ওপর। কিন্তু এই রাস্তা তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে রাস্তা এবং রাস্তার পার্শবর্তী অংশের রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয়নি জেলা প্রশাসনিক মহল।
আরও পড়ুনঃ তৈরি হচ্ছে বিশাল তোরণ! কোচবিহারের হেরিটেজ গেট এবার নজর কাড়বে সকলের
তবে এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনিক স্তরের কর্তাদের একাংশ কোনরকম বক্তব্য দিতে নারাজ। কেনো এই চরম উদাসীনতা বাঁধের ওপরের রাস্তাকে নিয়ে তা কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি কোন জেলা প্রশাসনিক স্তরের কাছ থেকে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং যান চালকদের দাবি, "দ্রুত এই রাস্তাকে পুনরায় যান চলাচলের যোগ্য করে তোলা হোক। রাস্তার পাশের বাড়ির সরিয়ে রাস্তাকে বিপদ মুক্ত করা হোক। না হলে যে কোনদিন একটা বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, বাঁধের উপরের এই রাস্তায়।"
Sarthak Pandit