Cooch Behar News: রাসমেলা শেষ, তাতে কী! মুর্শিদাবাদের কম্বল কিনতে রাস্তার পাশেই ভিড় জমাচ্ছে কোচবিহারবাসী
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
Last Updated:
ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে কোচবিহার রাসমেলা। তবুও প্রচুর ব্যবসায়ীরা কোচবিহার জেলাতেই রয়ে গিয়েছেন তাদের ব্যবসার পসরা নিয়ে। এমনই একদল ব্যবসায়ী যারা সুদূর মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে এসেছিলেন কোচবিহার রাসমেলায়।
#কোচবিহার : ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে কোচবিহার রাসমেলা। তবুও প্রচুর ব্যবসায়ীরা কোচবিহার জেলাতেই রয়ে গিয়েছেন তাদের ব্যবসার পসরা নিয়ে। এমনই একদল ব্যবসায়ী যারা সুদূর মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে এসেছিলেন কোচবিহার রাসমেলায়। তারা রংবেরঙের নানান ধরনের কম্বলের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কোচবিহার জেলার। কোচবিহার সদর শহরের হাসপাতাল মোর সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার একদম পাশেই তারা তাদের কম্বল নিয়ে তারা বসছেন রোজদিন। বিভিন্ন দামের বিভিন্ন রকমের কম্বল রয়েছে তাদের কাছে। প্রচুর মানুষ এই কম্বল কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন এই দোকান গুলিতে। এই ব্যবসায়ীরা সুদূর মুর্শিদাবাদ থেকে আসলেও, এই কম্বল গুলি কিন্তু মুর্শিদাবাদের নয়। এই কম্বল গুলি তারা কিনে আনেন দুটো পয়সা রোজগারের আশায়।
কম্বলের দোকানের ব্যবসায়ী মোহম্মদ হায়দার আলী মন্ডল জানান, "তাদের সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। এই কম্বল তারা কিনে নিয়ে আসেন। এবং কোচবিহার জেলার রাসমেলায় প্রতিবছর তারা এই দোকানের পসরা নিয়ে হাজির হন। তবে রাসমেলা শেষ হয়ে গেলেও সম্পূর্ন শীতের মরশুমে তারা কোচবিহার জেলায় থাকেন ব্যবসার জন্য। প্রচুর মানুষ তাদের নিয়ে আসা এই কম্বল কিনে থাকেন। কারণ, তাদের এই কম্বল গুলি দামের অনেকটাই কম এবং এই কম্বলের মান অনেকটাই ভালো। সাধারণ মানুষের একেবারে সাধ্যের নাগালে রয়েছে এই সমস্ত কম্বলের দাম।
advertisement
আরও পড়ুনঃ তৈরি হচ্ছে বিশাল তোরণ! কোচবিহারের হেরিটেজ গেট এবার নজর কাড়বে সকলের
অনেক ধরনের কম্বল রয়েছে তাদের কাছে। তবে দাম অনুযায়ী কম্বলের গুণগত মান পরিবর্তন হয়ে থাকে। ৫৫০ টাকা থেকে তাদের এই কম্বলের দাম শুরু হয়ে থাকে। সর্বশেষ ৬০০০ টাকা দামের কম্বল ও রয়েছে তাদের কাছে।" কম্বল কিনতে আসা কোচবিহারের এক বাসিন্দা গোপাল দাস বলেন, "এখনও পর্যন্ত অনেক ধরনের কম্বল কেন হয়েছে। তবে এত কম দামে এত ভালো মানের কম্বল খুব কম পাওয়া যায়। তাই বাড়ি ফেরার পথে এই দোকানে দাড়িয়েছেন তিনি। একটা কম্বল কিনবেন তিনি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কা যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে! অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন চালক
শীত প্রায় জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করেছে। তাই এই সময় রাতের বেলা কম্বল ছাড়া ঘুমোনো প্রায় অসম্ভব। তাই কম্বলের প্রয়োজন পড়েছে বাড়িতে।" তবে এই রকম অনেক মানুষ কম্বল দেখছেন দাড়িয়ে। এবং অনেকেই একের বেশি কম্বল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দোকান থেকে। সুদূর মুর্শিদাবাদ থেকে এসে দুটো মুনাফার মুখ দেখার উদ্দেশ্যে তাদের দোকান নিয়ে বসা কিছুটা হলেও আশাপ্রদ হচ্ছে এমনটাই জানিয়েছেন কম্বলের দোকানের ব্যবসায়ীরা।
advertisement
Sarthak Pandit
Location :
First Published :
December 07, 2022 6:30 PM IST