বৃদ্ধার সহযোগিতায় স্থানীয় মানুষ এগিয়ে এসেছেন বার বার। দু’বেলা দু’মুঠো অন্নর যোগানও মাঝে মধ্যে করে থাকেন এই স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এই বয়সে এসেও কেন তিনি কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েতের ওপর।
বৃদ্ধা মহিলা প্রমীলা বর্মন জানান, "দীর্ঘ দিন ধরে এই চরম দুর্দশায় দিন কাটছে । বার বার এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানালেও কোনও রকম সাহায্য করেনি।" সরকারি সহায়তার ঘর এখনও পর্যন্ত পাননি তিনি। বর্তমানে তাই ভাঙা ঘরে কোনও রকমে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। শেষ বয়সে এসে তাঁর ইচ্ছে, মৃত্যুর আগে অন্তত মাথার উপর একটা পাকা সরকারি ঘর দেখে যাওয়া।
advertisement
আরও পড়ুন : বাড়বে না ব্লাড সুগার, মধুমেহ রোগীরা নির্ভয়ে খেতে পারবেন এই বিশেষ জয়নগরের মোয়া
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ হিসেবী বলেন, "এই বৃদ্ধার দুই ছেলে ছিল। এক ছেলে জয়পুরে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা যান। আর এক ছেলে বিয়ের পর বউকে নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তাই গোটা বাড়িতে বৃদ্ধাকে একাই থাকতে হয়। বাড়ির ও চরম দুর্দশা। ভাঙা ঘরে কোনওরকমে মাথা গুঁজে রয়েছেন তিনি।"
তবে ৯০ ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধার এই বয়সে এসেও কেন চরম এই দুর্দশা সেই বিষয়ে কোনও রকম উত্তর দিতে পারেনি স্থানীয় পঞ্চায়েত। তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। তবে এই বৃদ্ধার এই চরম দুর্দশার দ্রুত অবসান ঘটুক, এই দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন : বাড়ি দোকান সব রয়েছে, পঞ্চায়েত প্রধানের বাবার নাম আবাস যোজনায়!
সরকারি প্রশাসনের কর্তারাও এখনও পর্যন্ত এই বৃদ্ধার কোনও সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি। বৃদ্ধার কথায়, শেষ বয়সে এসে একটু নিশ্চিন্তে, একটু শান্তিতে দিন কাটাতে চান তিনি। এই বয়সে এসে ভিক্ষাবৃত্তি করে দিন কাটাতে খুবই কষ্ট করতে হয়। আর বয়স বেশি হওয়ার কারণে কেউ তাঁকে কাজ দেন না।
বর্তমানে এই গোটা এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সরকারি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বৃদ্ধাকে কিছু সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হোক। যাতে শেষ বয়সে তিনি একটু শান্তিতে দিন কাটাতে পারেন।