আরও পড়ুনঃ আয়রন-প্রোটিনে ভরপুর, রোধ করে ক্যানসার…কালো চালের ভাতের গুণে অবাক হবেন
বাংলার সেরা এই সুগন্ধী চাল কীভাবে চাষ করা হয় জানেন কী? কালিয়াগঞ্জ এর কৃষি আধিকারিক মৌমিতা সরকার জানান বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে এই তুলাইপাঞ্জি ধান চাষ করা হয়। এই তুলাইপাঞ্জি চালের জন্য দোঁয়াশ প্রকৃতির মাটি হওয়া চাই। তবেই ফলবে তুলাইপাঞ্জি। অন্যান্য ধানের তুলনায় তুলাই এর উত্পাদনের হার কম হলেও এই চালের দাম প্রায় আড়াই গুণ। তুলাইপাঞ্জির চারা অত্যন্ত সরু হবার জন্য এটি ৫-৬ টি চারা দিয়ে রোপন করা হয়।
advertisement
এই তুলাইপাঞ্জির বীজ তলাতে চারা যাতে পর্যাপ্ত পরিমানে আলো বাতাস পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভাল ফলনের জন্য ভাল বীজতলা তৈরী আবশ্যক। আর তার জন্য চাই উপযুক্ত জায়গা ও ভাল মাটি যা জৈব উপাদানে ভরপুর।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ হেমতাবাদ করণদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইটাহারের প্রচুর পরিমাণে তুলাইপাঞ্জি ধান চাষ করা হয়। জানা যায় জেলায় প্রতিবছর ৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে ১২ হাজার টন ধানের চাষ হয়। চাষিরা প্রতি বিঘা জমিতে অন্য ধান চাষে যেখানে ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকা খরচ হয়। এখানে তুলাইপাঞ্জির ধান চাষ করতে চাষীদের খরচ পরে বিঘা প্রতি আড়াই হাজার টাকা। বর্তমানে দাম কেজি প্রতি প্রায় ১২০-১৩০ টাকা।
এক বিঘা জমিতে প্রায় ৬ মণ ধান চাষ করা হয়। এই তুলাইপাঞ্জি চাল চাষ করে বিঘা প্রতি লাভের পরিমাণ দাড়ায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। তবে লাভ যাই হোক না উত্তর দিনাজপুর জেলার গর্ব ই তুলাইপাঞ্জি।
পিয়া গুপ্তা